বিবর্তিত : শ্রী ভট্টাচার্য্য।

শব্দগুলো আজও বড় প্রাচীন।
শরীরী অবয়বের খাঁজে, ভাঁজে
লেগে থাকে আদিমতার নোনতা আস্বাদ।
ভিত্তিগুলোয় ঘুন ধরেছে শতাব্দী কয়েক আগে।
তবু ঐতিহ্যের উন্নাসিক ধ্বজা ওড়ে
অস্তিত্বের চূড়ায় চূড়ায়।

কে জানে কবে কোন এক
আদল-ভোলা ভবঘুরে এসে
থমকে থাকা ঘড়িতে
দম দিতে চেয়েছিল

নাহ। পারেনি।
পারতে দেওয়া হয়নি!
অচলায়তনের নিয়মভাঙা
অমনি সহজ কাজ?

অতৃপ্তির তৃপ্ত রসে
ওকে ভেজানো হয়েছিল আপাদমস্তক।
বাকি কিছুজন দরজা বন্ধ করে
লুকিয়েছিল বন্ধ ঘরের ভিতর।

এরপরে একটা নাম না জানা পাখি
কি করে যেন ভেঙে দিল দরজার আগল
শ’য়ে শ’য়ে উত্তপ্ত হাওয়া ঝড়ের বেগে
বয়ে গেল বসন্তের বুক চিরে।

কিছু নিশান ধূলায় লুটায়,
কিছু ভিত্তি ভেঙেও পড়ে।
তবু নোনতা ধূলিয়ারীরা জমাট বাঁধে
ভাঙা ইমারতের কোণায় কোণায়।
সমান্তরালে সহাবস্থান করে দুটো সভ্যতা।
শব্দগুলো আজও প্রাচীন; তাই না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *