সবাইকে কাঁদিয়ে মিতা হক চলে গেলেন!

0
3119

ওপার বাংলাঃ-আজ নিজেকে ধরে রাখাটা সত্যি সত্যিই কঠিন কাজ।তাই ধরে রাখার মত কঠিন কাজটা করতেও চাই না। চোখের জল শ্রাবণধারায় ঝরে পরছে..তাঁকে অবিরত শ্রদ্ধা জানাতে! চলে গেলেন মিতা হক!….

বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক! আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন করোনায়। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

মিতা হক বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। তাঁর একক ভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

মিতা হক ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে তাঁর চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন।১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনা করছেন। তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন, যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন।তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতিও ছিলেন।

মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই ম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার।
————————————-
ছবি : গুগল ইমেজ….