আগুন পাথরে ফুল : নিমাই জানা।

ঈশ্বর ইস্তেহার পত্র নিয়ে নেমে এলেন ঘোড়াটির পাশে , ঘোড়াটির দগদগে শরীরে গজিয়ে উঠছে অজস্র সরলরেখার দুর্বাঘাস
পুরোহিতরা স্নানের দেহে সকল সমর্পণ তুলে রাখেন , ওম জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপিয়ং

বুকের সংক্রমণ সেফিউরক্সিম নিরাময় দিয়ে সারিয়ে তুলি , উবু হয়ে বসে থাকি পুকুরের পাড়ে মেহগিনি ফুল সজীব পাতা দিয়ে ঘিরে রাখি জ্বলন্ত প্রদীপের বুকের পাঁজর, মৃত্যুর সারিতে
অনুজীব ছুঁয়ে ক্ষয়জাত পাথরের দিকে এগিয়ে যাই ,পাথরটি হিমালয়ের মতো চওড়া হয়

বৃত্তাকার সন্ন্যাসীরা গোপন মন্ত্রপাঠের পর গেরুয়া পোশাকে নেমে আসছে রাতের অন্ধকারে, স্থির বিন্দুর দিকে তাকিয়ে সবুজ আগুনের স্বাহা মন্ত্র উচ্চারণ
সাদা প্লাজমাদের ক্রনিক জ্বর ,অঘোষ ধ্বনি

ইসোফেগাস আটকে যাওয়া মৃত মানুষের দেহগুলো কাঁধে করে রেখে আসি লালকেল্লায় তাদের শরীরে ও অদৃশ্য বিশল্যকরণী চারা
রসায়নের মানুষগুলো তাজা রক্তকে লিটমাস জবাফুল ভাবেন

আগুন আর ঘোড়া ধাতব পৃষ্ঠার পরিবর্তনশীল যোজ্যতা , তাকে পরম ঈশ্বরী ভাবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *