দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে হোমযজ্ঞ ও ভক্তসেবা।

বীরভূম, সেখ ওলি মহম্মদঃ- বীরভূম জেলায় ঠাকুর সত্যানন্দদেব একাধিক রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে রামকৃষ্ণ নামের ব্যাপক প্রসার ঘটান। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্বামী বিবেকানন্দের মত আরও এক অন্যতম শিষ্য ছিলেন শ্রীমৎ অভেদানন্দদেব। তাঁরই প্রিয় শিষ্য ছিলেন স্বামী সত্যানন্দদেব। তিনি বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম। এরপর প্রচলন করেন কাত্যায়নী পূজা। ১৯৬১ সালে গুরুজী স্বামী অভেদানন্দদেবের নামে দুবরাজপুরে প্রতিষ্ঠা করেন অভেদানন্দ মেলা। সে সময় আশ্রমের দায়িত্বে ছিলেন ঠাকুর সত্যানন্দদেবেরই শিষ্য স্বামী ভূপানন্দ মহারাজ। তারপর থেকে যথারীতি কাত্যায়নী পূজা ও মেলা হয়ে আসছে দুবরাজপুরে। তবে করোনা আবহে গতবারের মতো এবারও মেলা হলো না। করোনা বিধি মেনে ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৩ই ডিসেম্বর যথারীতি কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করা হয় দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের উদ্যোগে। হোমযজ্ঞ চণ্ডীপাঠ ও নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন বরানগর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সংঘপতি স্বামী গোরানন্দ মহারাজ, বরানগর রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক প্রকাশ মহারাজ, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ সহ বিভিন্ন আশ্রমের মহারাজগণ।দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ জানান, প্রতি বছরের মত এবারেও দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের পরিচালনায় কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব মানব কল্যাণের শান্তির জন্য এবং করোনা মুক্ত পৃথিবী গড়তে আজ মন্দিরে পূজার্চনা, হোমযজ্ঞ হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা বিধি মেনে ৭-৮ হাজার মানুষকে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। কিন্তু করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে এবারও অভেদানন্দ মেলা করা সম্ভব হল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *