রাজ্যে সন্দেহভাজন ওমিক্রণ সংখ্যা 2 , কলকাতায় করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি, করোনা পরীক্ষাতে উদাসীন সাধারণ মানুষ।

0
1487

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শেষ দু’সপ্তাহে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বেশ খানিকটা, গত 8 ই ডিসেম্বরে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পজিটিভিটি রেট নিয়ে চিঠিতে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, কলকাতার পজিটিভিটি রেট ৫.৩৮ শতাংশ, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ, শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় , ৮ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে এই চিঠি কেন্দ্রের। এরই মধ্যে আরো একবার ফিরে আসতে চলেছে করোনা’র নতুন রূপ ওমিক্রন এবং তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিকিৎসক মহলে যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই এই নতুন রোগ নিজের রূপ দেখাতে শুরু করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবর আরো বেশি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষকে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে এই ভাইরাসে’র আক্রান্ত রোগী ব্রিটেন ফেরত এই তরুণী, কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতে না করতেই রিপোর্ট পজেটিভ। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। এ ঘটনায় চূড়ান্ত সর্তকতা জারি হয়েছে গোটা কলকাতা জুড়ে।ওই তরুণীর জিনোম সিকোয়েন্স করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকি বিমানে আসা প্রত্যেক যাত্রীদের rt-pcr পরীক্ষা করানোর পর ছেড়ে দিলেও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। ওই যাত্রীদের প্রত্যেকের উপর নজর রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
ওই তরুণী চিকিৎসায় আইডির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর কৌশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে যে টিম গঠন করা হয়েছে তারা আগামী সাতদিন তরুণীকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলে জানা যায় সূত্রের খবর অনুযায়ী তারপরেও রিপোর্ট পজিটিভ হলে আলিপুর এর বাসিন্দা ওই তরুণী হবে রাজ্যের প্রথম ওমিক্রণ আক্রান্ত।
দোহা থেকে কলকাতাগামী কাতার এয়ারওয়েজের ওই বিমান হয়তো আগামীর এক কলঙ্কের ইতিহাস রচিত হতে চলেছে।
আজ রাজ্যে ফের সন্দেহভাজন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিললো। বাংলাদেশ ফেরত বারাসাতের বাসিন্দাকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়েছে। দিল্লিতে আরেক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। মুম্বইয়ে ২দিনের ১৪৪ ধারা জারি। ২ ঘণ্টায় ওমিক্রন সংক্রমণ ধরতে বিশেষ কিট তৈরি করল আইসিএমআর I
তবে রাজ্যে নির্বাচন উপনির্বাচন পৌর নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রাজনৈতিক মহলের কোন হেলদোল নেই এ বিষয়ে, পারস্পারিক দূরত্ব বৃদ্ধি স্যানিটাইজার মাস্ক ব্যবহার অনেকটাই কমেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমনকি উপসর্গ না থাকলেও সচেতন নাগরিক হিসেবে অতীতে rt-pcr এবং রেপিড টেস্টের আগ্রহ অনেকটাই কমেছে তা মানলেন বিভিন্ন হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধিকর্তারাও। সরকারি বিধি ব্যবস্থা চালু থাকলেও, যেকোনো ধরনের অসুস্থতার কারণে ডাক্তারবাবুর দেওয়া করোনা পরীক্ষার নির্দেশকেও অগ্রাহ্য করছেন অনেকেই। অথচ ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা 55 হাজার এবং মৃত্যুর সংখ্যা 1 হাজার ছাড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here