তৃণমূলের রক্তদান শিবিরের ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে কান ধরতে হলো CPIM কর্মীকে,শোরগোল।

0
432

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের প্রচারের ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সোমবারের সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার গোপীগঞ্জে উত্তেজনা ছড়াল। সিসিটিভি ফুটেজে তৃণমূলের তরফেই সনাক্ত করা হল সেই ব্যক্তিকে,তৃণমূলের অভিযোগ ওই ব্যক্তি সিপিএমের হয়ে এই কাজ করেছে।তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গোপীগঞ্জ,একপ্রকার শাসক দলের আঁতুড়ঘর বলা চলে, সেই জায়গায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবিসহ ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলায় সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়।
এই ঘটনায় দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা, অনিরুদ্ধ আলম জানান, আগামী ১লা জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে খেপুত অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রয়েছে একটি রক্তদান শিবির, তারই প্রচারে গোপীগঞ্জ বাজার ও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় লাগানো হয়েছে শাসক দলের দলীয় চিহ্ন এবং দল নেত্রীর ছবি ব্যবহৃত রক্তদানের ফেস্টুন। অভিযোগ ১২ ডিসেম্বর রবিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় সিপিএমের কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের ওই ফেস্টুন ছিঁড়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে সেই ছবি উঠে এসেছে স্থানীয় এক সিপিএম কর্মী রাতের অন্ধকারে তাঁদের ফেস্টুন ছিঁড়ে দিচ্ছেন। ঘটনায় জাকির হোসেন নামে একজন অভিযুক্তের নাম উঠে সামনে উঠে আসছে। এরই প্রতিবাদে সোমবারের সকালে দাসপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে কান ধরতে দেখা যায় ভিডিওতে জানি শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
অন্যদিকে স্থানীয় সিপিএমে নেতৃত্ব শোয়েব আহমেদ বলেন,এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম এর কোন যোগসূত্র নেই। তাঁদের দল এমন নোংরা রাজনীতি করেনা। এই সমস্ত বিষয়ে মূল যে অভিযুক্ত সেই জাকির হোসেন,তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও তিনি বলেন সিপিএমে বা কোনো দলের নির্দেশে এই কাজ করেননি। গত রাতে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনের থেকে তিনি বঞ্চিত সেই রাগ থেকেই মদ্যপ অবস্থায় এমন কাজ করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য তিনি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here