ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের সর্বক্ষণের সেবায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মেয়ে শ্রেয়া নন্দী।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সর্বস্বান্ত পরিবারের প্রধান দিলীপ নন্দী, বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের , যার নিজস্ব 1 কাঠা জমি জায়গা নেই পরের ক্ষেত-খামারে জনমজুরের কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে, যে সংসারের কর্তী দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।

দিলীপ নন্দী দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বিভিন্ন হসপিটালে ঘুরেছেন কিন্তু কোথাও পরিষেবা পাইনি বলেই অভিযোগ করেন। বিভিন্ন হসপিটাল বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন
অতএব ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা সেইভাবে হয়নি অবশ্য চেষ্টা করেছেন নিজের সাধ্যমত কিন্তু ক্যানসারের মতো মরন রোগের চিকিৎসা দিলীপ নন্দীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

শ্রেয়া নন্দী, ক্যান্সারাক্রান্ত মা বুলি নন্দী আর অসহায় বাবা দিলীপ নন্দীর একমাত্র হতভাগ্য মেয়ে।
সবে মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা শ্রেয়া নন্দীই এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত মরণাপন্ন মায়ের একমাত্র সেবিকা। এই বয়সে ছেলে মেয়েরা যখন স্কুলের পড়াশোনা স্কুল এবং সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে আনন্দে জীবন কাটায় তখন শ্রেয়া নন্দী কে রান্নাবান্না থেকে বাড়ির যাবতীয় কাজ করে মায়ের সেবা যত্ন , খাওয়া-দাওয়া সমস্তটাই করতে হয় একার হাতে। বিশ্রাম নেই , তারপর ক্লান্ত-অবসন্ন দেহটাকে নিয়ে ছুটতে হয় প্রাইভেট টিউশনে, পড়তে হয় স্কুলের এবং টিউশনের পড়া।

এতকিছুর পরেও মায়ের প্রতি মেয়ের ভালবাসার এবং আবেগ এতোটুকু কমে যায়নি আর সেটা শ্রেয়া নন্দীর কথাতেই ধরা পরল আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *