ক্রিসমাসর সঙ্গে অনেক বছর ধরেই জড়িয়ে আছে সান্তাক্লজ।

0
301

কে এই সান্তাক্লজ কী ভাবেই বা তিনি এত জনপ্রিয় হলেন? এই সান্তাক্লজ নিয়ে একাধিক কাহিনি প্রচলিত আছে। চার শতকে তুরস্কে নিকোলাস ক্রিস্টান নামের এক ধর্মগুরু ছিলেন। তিনি একাধিক নামে পরিচিত ছিলেন, সেন্ট নিকোলাস, ফাদার ক্রিসমাস, ক্রিস কিংগল বা সান্টা। তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি গরিবদের দান করে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজ ভাষায় তাঁকে সেন্ট নিকোলাস বা সেন্টার ক্লাস বলা হতো। এই নাম থেকেই তাঁকে পরবর্তী কালে সান্তাক্লজ বলে ডাকা হয়। এ ছাড়াও সান্তার নিবাস নিয়ে তাঁর কাজ ও কাহিনির বহু তথ্য পাওয়া যায়। কোনো কোনোটিতে তাঁকে উত্তর মেরুর বাসিন্দা কোথাও তাঁকে ফিনল্যান্ডের ল্যাম্পল্যান্ড প্রদেশের বলে ব্যখ্যা করা হয়েছে।

জানেন কী, সান্তাক্লজের পোশাকের রং প্রথমে লাল ছিল না। ১৯৩০ সালে কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপনের কাজে সান্তাক্লজের ছবি ব্যবহার করা হয়। তখনই সান্তাক্লজের পোশাকে রং কোকাকোলার অফিশিয়াল রং লাল-সাদার সঙ্গে মিলিয়ে লাল-সাদা করে দেওয়া হয়।

বড়োদিনের রাতে মোজা ঝোলানো হয় কেন জানেন? এর পিছনেও রয়েছে একটি সুন্দর গল্প। কথিত আছে রোমে এক জন গরিব মানুষ ক্রিসমাসের দিন তাঁর বাড়ির ফায়ার প্লেসের পাশে ভেজা মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন। সকালে উঠে তিনি যা দেখেন তা অবিশ্বাস্য। তিনি দেখেন ওই মোজা মধ্যে বেশ কিছু সোনার কয়েন। তার পর থেকেই সাধারণের মধ্যে এই ধারণা জন্মায় যে ক্রিসমাসের দিন বাড়ির ফায়ার প্লেসের পাশে মোজা ঝুলিয়ে রাখলে সান্তাক্লজ এসে তাতে উপহার রেখে যান।
ক্রিসমাসের জনপ্রিয় গান জিঙ্গেল বেল সকলেই জানে। কিন্তু সেটি যে ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে বানানো হয়নি সে কথা অনেকেই জানেন না। আসলে এই গানটি ছিল ‘ওয়ান হর্স ওপেন স্লেজ’। থ্যাংকস গিভিং-এর জন্য এটি গাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে এই গানটিও খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়। তখনই এর কথা বদলে জিঙ্গেল বেল গানটির কথা বসানো হয়। এই গানটিকে ক্রিসমাসের আনুষ্ঠানিক গান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।

জানেন কি সান্তাক্লজকে চিঠি লেখা যায়? মার্কিন দেশে সান্তাক্লজের নামে একটি পোস্টঅফিস আছে। সেখানে সান্তাক্লজের উদ্দেশে চিঠি লেখা যায়। এই পোস্ট অফিসটি তৈরি হয়েছিল ১৮৫৬ সালে। ২০১৫ সালে এই পোস্ট অফিস থেকে প্রায় ২২ হাজার চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কানাডাতেও সান্তাক্লজের একটি পোস্ট অফিস আছে। এই পোস্টঅফিসটির পিন কোড – এইচওএইচ ওএইচও।
খ্রিস্টমাস ডে কে এক্সমাস ডে কেন বলা হয় তা অনেকেই জানেন না। এক্স অক্ষরটি এসেছে গ্রিক অক্ষর ‘চি’ থেকে। এই চি গ্রিক শব্দ খ্রিস্টস-এর প্রথম অক্ষর। এই খ্রিস্টসের ইংরাজি অর্থ হল ক্রাইস্ট।

ভারত মহাসাগরে এমন একটি দ্বীপ আছে যার নাম ক্রিসমাস আইল্যান্ড। এটি অস্ট্রেলিয়ায়। এই দ্বীপটির এমন নামকরণ হওয়ার কারণ ১৬৪৩ সালে ক্রিসমাসের দিন এই দ্বীপটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
অবাক হবেন জানলে, জাপানে ক্রিসমাসের দিন কেএফসি-র কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন খাওয়া হয়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। তাই নির্দিষ্ট দিনে এটি পাওয়ার জন্য তিনমাস আগে বুকিং করতে হয়। আবার সুইডেনে ক্রিসমাসের দিন ডোনাল্ড ডাকের কার্টুন দেখার রীতি রয়েছে।
।।সংগৃহীত গুগল।।