নদীয়ার হরিণঘাটায় বড়দিনের আগে ধর্ম বদলের হুমকি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী চারশো পরিবার।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দিন কয়েক পরে খ্রিস্ট ধর্মের উৎসব বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর। তার আগে মঙ্গলবার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী প্রায় চারশো পরিবার ধর্ম বদলের কথা বললেন। তার একটাই কারণ তাঁদের প্রার্থনাস্থল বন্ধ করে দিয়েছেন গির্জার ফাদার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণঘাটার হাঁপানিয়া খ্রিস্টানপাড়াতে।এর প্রতিবাদে ওই খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পথ অবরোধে সামিল হলেন। তাঁরা হরিণঘাটার নগরউখরা-হাবরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন সকাল থেকে। যদি পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
জানা গেছে, এই গির্জার তত্ত্বাবধানে একটি অনাথ স্কুল পরিচালনা করা হতো। সেই স্কুলটির দেখভাল করতেন চন্দ্রশেখর হালদার নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনি অহিন্দু ও অনাথ নয় এমন শিশুদের স্কুলে এনে পড়াশুনো করান। এবং তাদের ছবি তুলে অনাথ বলে পরিচয় দিয়ে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। গির্জার ফাদারের কাছে এর প্রতিবাদ করেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। ফাদারের বিরুদ্ধে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ওই মানুষদের অভিযোগ, ফাদার তাঁদের কথার মান্যতা না দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য গির্জা বন্ধ করে দেন। এমতাবস্থায় ওই মানুষেরা কোথায় বড়দিনের প্রার্থনা পারবেন তা নিয়ে ধন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
যদিও ফাদার ও ওই শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বড়দিনের উৎসবে গোশালা ও মঞ্চ নির্মাণ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়াতে গির্জা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *