বিজেপির সভার আগে রণক্ষেত্র চেহারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এলাকায়।

0
413

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- শুভেন্দু অধিকারী সভার আগে রণক্ষেত্র চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কাঁথি শহর। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত তৃণমূল কর্মী সমর্থককে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে। আহত বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক এখনোও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানাগেছে।সূত্রের খবর, কাঁথি শহরের জুনপুট মোড় সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক চলে আসেন। এরপর তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দু বাবুর সঙ্গে থাকা কেন্দ্র বাহিনীও নেমে পড়েন। এরপর ওই কেন্দ্র পুলিশ বাহিনী বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক কে লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক রক্তাক্ত জখম হন। আহত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা আমিন সোহেল, শহর যুব তৃনমূলের সভাপতি সুরজিৎ নায়ক সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
কাঁথি শহর তৃণমূল সভাপতি সুরজিৎ নায়ক বলেন ” তমলুকের সাংসদ সবসময় মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। উনার মাথা কাজ করছে না। সিআরপিএফ নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। সিআরপিএফ দিয়ে আমাদের ছেলেদেরকে আক্রান্ত করেন। সিআরপিএফ দিয়ে কাঁথি শহরে ভোট লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছে “,মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা আমিন সোহেল বলেন ” তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ছাত্র পরিষদের ছেলেদের দেখে জয় শ্রীরাম বলে কটাক্ষ করেন। প্রতিবাদ জানালে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে সিআরপিএফ দিয়ে আমাদের ছেলেদেরকে আক্রান্ত করে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই “,আহত এক তৃণমূল নেতা শেখ সাত্তার বলেন ” কিছু ছেলেদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তখনই দিব্যেন্দু অধিকারি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগে সিআরপিএফ নেমে পড়েই বেধড়ক মারধর করে। তখনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দু অধিকারী নির্দেশের সিআরপিএফ আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে “,যদিও এই ঘটনায় অধিকারী পরিবার ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।