পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে উগ্রবাদীদের হামলায় লড়াই করেছিলেন সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায়, অভিনব সংবর্ধনা।

0
124

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:——পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে উগ্রবাদীদের হামলায় লড়াই করেছিলেন সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায়। অবসরের পর বাড়ি ফিরতেই সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায়কে অভিনব উদ্যোগে সংবর্ধনা দিল পরিবারবর্গ ও গাজোলবাসী। বিনাল চন্দ্র রায় তিনি সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন ৪০ বছর ধরে। আজ সকাল নটায় গাজোলে আসতেই তাকে ফুলের মালা পরিয়ে এবং পুষ্প স্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানাই পরিবার বর্গের সদস্যরা। পিছিয়ে ছিলো না গাজোল বাসিও। পরিবারে সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন তার মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী লিলি রায় পেশায় তিনি অঙ্গনারী কর্মী। বড় ছেলে প্রতীক রায় পেশায় শিক্ষক ছোট ছেলে প্রলয় রায় সে ডব্লিউবিসিএস এর প্রিপারেশন নিচ্ছে। বাড়িতে বৌমা কেয়া চক্রবর্তী ও চার বছরের নাতি প্রয়াস রায়। আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে বর্ণনাট্যময় যাত্রা করে গাজোলের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায় কে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তারপর চলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। নির্মল যোগ সংঘের গুরু নির্মল কুমার সাহা তিনিও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন সৈনিক তিনিও বিনাল বাবুকে সংবর্ধনা জানান।
‌‌ সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায় জানান আমার কর্মরত জীবন শুরু হয়েছিল ৩০ শে মে ১৯৯৩ সালে। দেশের জন্য ৪০ বছর ধরে সেবা করে চাকুরীজীবী পরিবার থেকে নিজের পরিবারে এসেছি। অবসর হওয়ার পর মনে দুঃখ একটু ছিল যে চাকুরীরত পরিবার ছেড়ে নিজের পরিবারে যেতে হবে। আনন্দে বুক ভরে উঠছিল স্বচ্ছ ভাবে চাকুরী জীবন পার করে অবসর হয়ে বাড়ি ফিরলাম। আমার কর্মজীবনে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে পাঞ্জাবের ঘটনা। স্বর্ণমন্দিরে আমার ডিউটি চলছিল সহকর্মীদের সাথে সেই সময় চাকরি আমার পাঁচ বছরের পদার্পণ করেছিল।। কোনদিনও ভাবি নি এই ঘটনার সাক্ষী থাকবো।। পাঞ্জাবি স্বর্ণ মন্দিরে উগ্রবাদীদের সঙ্গে ২৮ দিন ধরে লড়াই করে জয়ী হয়েছিলাম আমরা। প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন উগ্রবাদী উগ্রবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল। পাশাপাশি আরো মনে করিয়ে দেয় ছত্রিশগড়ের একটি ঘটনা। আমার সামনে আইডিবি ব্লাস্টের ঘটনায় এক জাওয়ান আহত হয় সেই জাওয়ানকে আমি রিকভারি করে নিয়ে হসপিটাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম তার চিকিৎসার জন্য। আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনি চাকরিজীবন শেষ করে বাড়ি ফিরে এই ধরনের একটা সবচেয়ে বড় উপহার পাব। এইভাবে পরিবারের লোকজন আদিবাসী রমণীদের নিত্য নিয়ে একটা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে আমাকে নিয়ে। পাশাপাশি গাজোল বাসিও আমাকে সংবর্ধনা জানায় এতে আমি খুব আপ্লুত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here