জোড়া মুকুট ব্রজকিশোরের, শান্তিপুর এবং রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের রূগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ, ক্ষোভ বিজেপি মহলে।

0
406

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- শান্তিপুর বিধানসভার সদ্যনির্বাচিত বিধায়কের মাথায় নতুন দুই মুকুট। শান্তিপুর হাসপাতাল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালেরও রুগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন তিনি । শান্তিপুর হাসপাতালে ক্ষেত্রে, প্রাক্তন পৌরপতি অজয় দে দীর্ঘদিন এই পদ অলংকৃত করেছিলেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আইনি নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করেন পদাধিকারবলে রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকা এসডিও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন শংকর সিংহ, নির্বাচনে পরাজয়ের পর জয়ী বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে আর নতুন করে কার্যকরী হয়নি অথচ 2011 সাল থেকে 16 সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এই পদে নিযুক্ত । এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনো সদুত্তর পাওয়া না গেলেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করার কারণেই তিনি ব্রাত্য । যদিও ব্রজ কিশোর গোস্বামী কে বিধায়ক হিসেবে নয়, নিযুক্ত করা হয় বিশেষ খ্যাতনামা ব্যক্তি হিসেবে। । কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার মুকুটমণি অধিকারী কে বাদ দিয়ে কেনো? এক্ষেত্রে হয়তো রাজনৈতিক সংকীর্ণতা আছে বলেই মনে করেন বিজেপি নেতৃত্ব। হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দেখভালের জন্য বাম আমল থেকেই চলে আসছে সরকারি তত্ত্বাবধানে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন। পূর্বে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হলেও বর্তমানে স্থানীয় বিধায়ক দায়িত্বভার গ্রহণ করে আসছেন বর্তমান সরকারের সময়ে কাল থেকে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদনে, স্থানীয় বিধায়ক চেয়ারপারসন, এস ডি ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং হাসপাতালের সুপার অথবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বি এম ও এইচ সম্পাদক পদ অলংকিত করে থাকেন। এছাড়াও স্থানীয় থানার ওসি, পৌরসভার প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার, আই এম এ মেম্বার ,স্থানীয় কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত সদস্য বর্ধিত আকারে কমিটি গঠনের লক্ষ্য করা যায়। তবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখভালের সাথে মহকুমা এবং জেলা স্তরেও রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা থাকে, সামগ্রিক ভাবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ কোন বিষয়ে বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য। প্রসঙ্গত জানা যায় জেলার নবদ্বীপ শান্তিপুর চাকদায় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কৃষ্ণনগর সদর এবং রানাঘাট তেহটটো মহাকুমা হাসপাতাল, কল্যাণী মেডিকেল হাসপাতাল গান্ধী এবং জেএনএম হাসপাতাল ,ধুবুলিয়া যক্ষা হাসপাতাল, প্রায় প্রতিটি ব্লকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ ধরনের রূগী কল্যাণ সমিতি গঠিত আছে।