দিনহাটায় স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাবাকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী।

0
551

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাবাকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের কিশামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হোকদহ এলাকায়। পরে স্থানীয়রা ওই ব্যক্তি তার বড় ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে আশ্রয় নেয়। পরে প্রধান সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশকে ফোন করে গোটা বিষয় জানালে পুলিশ সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সাহেবগঞ্জ থানায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিনোদ চন্দ্র অধিকারী। অভিযুক্ত যুবকের নাম সুশান্ত বর্মণ। জানা গেছে, সুশান্ত বর্মণের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বিনোদ চন্দ্র অধিকারীর ছোট ছেলে। তারপর থেকে ওই পরিবারের প্রতি ক্ষোভ জন্মাতে থাকে সুশান্তের। তারপর আজ সুশান্ত বর্মণ বিনোদ চন্দ্র বর্মণের ছেলেকে না পেয়ে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে এবং তার বড় ছেলে প্রভাত অধিকারী কে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বিনোদ ও তার বড় ছেলে প্রভাত অধিকারীকে নিয়ে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা বিনোদ চন্দ্র অধিকারীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক সুশান্ত বর্মণ বিনোদ চন্দ্র অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর আশ্রয় নেন বামনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়িতে। সেখান থেকেই সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত সুশান্ত বর্মনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে দোষ করেছে তার উপযুক্ত শাস্তি হবে।
এদিন বামনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, দুপুরে তার মোবাইল একটা ফোন আসে। একব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমার বউকে নিয়ে একজন পালিয়ে গিয়েছিল আমি তাকে খুন করেছি। আমি আপনার বাড়ি আসছি। একটু পরে সত্যি সত্তিই একটি ছেলে হাতে রক্ত মাখা দা নিয়ে আসে। তার নাম সুশান্ত বর্মণ। পাশের বুথেই বাড়ি।পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। আমি চাই তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। প্রশাসনের কাছে আমি তার কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে মৃত ব্যক্তির বড় ছেলে জানান, আমার ছোট ভাইয়ের সাথে অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রীর একটা সম্পর্ক ছিল। তবে সেটা নিয়ে পুলিশি কেস চলছে। তারপর আজকে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা চাই তার যেন কঠোর শাস্তি হয়।