শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ কান্ডে গ্রেপ্তার আরও দুই অভিযুক্ত।

0
312

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শীতলকুচি গণধর্ষণকাণ্ডে বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল শীতলকুচি থানার পুলিশ। এর আগে জমির হোসেন নামে এই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া ও ফিরোজ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, গত মঙ্গলবার শীতলকুচি কলেজে যাওয়ার সময় কিষাণ মান্ডি সামনে পূর্বপরিচিত জমির এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। কলেজে এগিয়ে দেবে বলে তাদের গাড়িতে উঠতে বলে। সরল বিশ্বাসে ওই দুই পূর্বপরিচিতের গাড়িতে উঠে ওই কলেজছাত্রী। এরপর তাকে কলেজে না নিয়ে গিয়ে তারা বামন ঢোকা এলাকার জমির পিসির বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে রাসেল আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ধর্ষণ মূল অভিযুক্ত জমির। ধর্ষণ কাণ্ডের ভিডিও তুলে নেয় রাসেল ও ফিরোজ। ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই কলেজছাত্রী। তাকে জোর করিয়া গর্ভ নিরোধক ঔষধ খাইয়ে জখম অবস্থায় শীতলকুচি গার্লস স্কুলের সামনে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতা কলেজছাত্রী অভিযোগ জানানোর পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুল অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও বাকি দুজন পলাতক থাকে। বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূল-বিজেপি বামপন্থী দল এসএফআই ডিওয়াইএফআই,তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠন এর তরফ থানাতে স্মারকলিপি দিয়ে পুলিশের উপর চাপ বাড়ানো হয়। গতকাল পর্যন্ত বারোটি স্মারকলিপি জমা পড়ে গণধর্ষণ কাণ্ডের দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে। অবশেষে এদিন তারা গ্রেপ্তার হয় শিলিগুড়ি থেকে।
শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তই গ্রেফতার হল। এদিকে গণধর্ষণকাণ্ডে বাকি দুজন ফিরোজ এবং রাসেলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এর আগে মিছিল করে শীতলকুচি থানায়, বিডিওকে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ব রাজবংশী উন্নয়ন মঞ্চ। শীতলকুচি থানার সামনে এসে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব রাজবংশী উন্নয়ন মঞ্চ। এছাড়া মিছিল করে শীতলকুচি থানা ও শীতলকুচির বিডিও কে স্মারকলিপি দেয় ছাত্র-শিক্ষকরা।