তৃণ্ময় বেরা,ঝাড়গ্রাম:- দীর্ঘদিন পরে কলেজ খোলার পরেই ক্যাম্পাসে হাজির হচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) নেতৃত্ব। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, করোনা কালে পড়ুয়াদের স্বার্থে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে টিএমসিপিকে মাঠে দেখা যায়নি। কলেজ খোলার পরেই তারা নির্বাচিত ছাত্র সংসদহীন ক্যাম্পাসের দখল নিতে চাইছে। বসে নেই এসএফআইও। গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্কুল ও কলেজ ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে এসএফআইয়ের নেতা-কর্মীরা। ছবিটা ঝাড়গ্রাম জেলার।
অফলাইনে ক্লাস শুরু হতেই টিএমসিপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি আর্য ঘোষ ও সংগঠনের তরফে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল জেলার প্রতিটি কলেজ ও সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। পড়ুয়া ছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন এসএফআইয়ের জেলা সভানেত্রী মধুশ্রী মজুমদার বলেন, ‘‘স্কুল-কলেজ খোলার জন্য টিএমসিপি কোনও দিন আন্দোলন করেনি। ওদের রাস্তাতেও দেখা যায়নি। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে বামেরাই রেড ভলান্টিয়ার ও শ্রমজীবি ক্যান্টিন চালু করেছে।’’ গেরুয়া ছাত্র সংগঠন এবিভিপির জেলা সংযোজক শুভদীপ ঘোষেরও দাবি, ‘‘টিএমসিপি গায়ের জোরে কলেজ দখল করতে চাইছে। কিন্তু তা পারবে না।’’ এসএফআই ও এবিভিপি দুই ছাত্র সংগঠনেরই দাবি, ঝাড়গ্রামের প্রতিটি কলেজে তাদের সংগঠন তৈরি আছে। সেটা বুঝেই জোর করে ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টা করছে টিএমসিপি।
টিএমসিপি অবশ্য অভিযোগ মানেনি। সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি আর্য বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেকটি কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনছি। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। করোনা বিধি মেনে যাতে পঠন-পাঠন হয় সেই কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘করোনা পর্বে যেসব পড়ুয়ারা পড়াশোনা থেকে বিমুখ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।’’ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘বিরোধী ছাত্র সংগঠনের কোনও অস্তিত্বই নেই আমাদের জেলায়। তবে ভোটের সময় ভোট হবে। এখন পড়ুয়ারা যাতে শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রেখে পড়াশোনা করতে পারে সেটাই এখন আমাদের চিন্তা।’’