নদীয়ার শান্তিপুরে পরিতক্ত একটি বাড়ির উঠোনে শিবলিঙ্গ উত্থান ঘিরে দুই পাড়ার বচসা, নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ইদানিং বিবাহিত নিঃসন্তান দম্পতির বাড়িতে কার্তিক ফেলার মতন প্রায়ই, লক্ষ্য করা যায় মাটি ফুঁড়ে শিব লিঙ্গে উত্থান এর গল্প। এইরকমই নদীয়ার শান্তিপুরে গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে মাটির তলা থেকে উঠে এলো শিবলিঙ্গ যা নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। ঘটনাটি শান্তিপুর 21 নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বসুখ পল্লী ও হরিপুর অঞ্চলের নীলকুঠির মধ্যস্তর এলাকায়। জানা যায় আজ সকালে ওই এলাকার একটি আপাতত মালিকবিহীন পরিত্যক্ত গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে একটি শিবলিঙ্গ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন খবর ছড়াতেই আশেপাশের এলাকা গুলি থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করে শিবলিঙ্গ টি দেখার জন্য। জানা যায় ওই গৃহস্থ বাড়ির লোকজন বাংলাদেশের কোন একটা আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দীর্ঘদিন আটকে পড়ে লকডাউনের কারনে , সেই কারণে ওই গৃহস্থবাড়িটি বসবাসহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে পাড়া বেপাড়ার নানান রকম আড্ডা বসে সেখানে ।স্থানীয়দের দাবি গভীর রাতে কে বা কারা ওই শিবলিঙ্গটি মাটি খুঁড়ে রেখে যায়, কিন্তু কারা এই কাজ করেছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারিনি এলাকার লোকজন। বেস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও শহরের বিশ্ব সুখ পল্লী এবং হরিপুর পঞ্চায়েতের নীলকুঠি গ্রামের সংযোগস্থলে হওয়ার কারণে এলাকার দুটি বারোয়ারির সদস্যরা শিবলিঙ্গটি পুজো করবে বলে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কিন্তু কারা শিবলিঙ্গটি এখন পুজো করবেন তা নিয়ে অনেকটাই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে সচেতন নাগরিকের ধারণা, এর নেপথ্যে রয়েছে আপতত মালিকাধীন ওই জমির দখলদারি। যদিও দুটো বারোয়ারীর পক্ষ থেকেই জানানো হয়, রেজিস্টার কৃত সম্পত্তির উপর তার অধিকার সে যেদিনই ফিরূক না কেনো। স্থানীয় আত্মীয় স্বজনরা জানান, ওই বাড়ির মালিক অনেকদিন আগে একবার ফোন করেছিলেন তারপরে আর কোন যোগাযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *