সুরক্ষিত থাক ছোটরা : শতাব্দী মজুমদার।

ভবিষ্যৎ রসাতলে গেল বলে ওদেরই সামনে কপাল চাপড়াবেন না,এতে সন্তানের ক্ষতি আপনি নিজেই করবেন।বর্তমান সময়টুকু আক্ষেপ করে,অন্যকে দোষ না দিয়ে এই দুঃসময়ে নিজের করণীয়টুকু ভাবুন।

কি হতে চলেছে আমরা কেউ জানি না।তবে প্রতিরোধটুকু যখন আমাদের হাতে ছিল আমরা তা মানিনি।ফলত খেসারত আমাদের দিতেই হবে।

এবার বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে ,ওদের ভ্যাকসিন হয়নি।আমাদের ভ্যাকসিন হয়েছে বলেই হয়তো আক্রান্ত হলেও প্রকোপ কম।কাজেই বাচ্চাদের নিয়ে একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে।

বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এই দুই ই এই মুহূর্তে গুরুত্ব দেবার বিষয়।এ ক্ষেত্রে
অভিভাবকদেরই সচেতন হতে হবে অনেক বেশি।

অভিভাবকরা নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন তাহলে আপনাদের বাড়ির বাচ্চাটি অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। বাচ্চাদের জন্য চটজলদি অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর সুষম খাবারের কথা ভাবুন,যা রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তুলবে।

স্কুলের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই ,আত্মজীবনী বা তথ্যমূলক বই কিনে দিয়ে বই পড়ায় উৎসাহিত করুন।বাড়ির কাজে সাহায্য করতে শেখান।তাছাড়া ওদের যার যেটা হবি এই সময় সেটাকে আরও ভালো মতো ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিন।

পজিটিভ ধারণা তৈরি করুন নেগেটিভিটিকে দুরে রেখে পরিস্থিতিকে মানিয়ে চলার মতো মানসিক শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করুন।

এই দুঃসময়েও ওরা ভালো থাকুক,সময়ের স্বদব্যবহার করুক।খারাপটুকুর আঁচড় থেকে ওরা সুরক্ষিত থাকুক।

লেখা-শতাব্দী মজুমদার।

ছবি : সংগৃহীত ইন্টারনেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *