নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেকে তিন দিনের সফরে র বুধবার শেষ দিনে ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যাস্ত রাখলেন। সামনে পৌরসভার নির্বাচন। শাসক দলকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ বিজেপি। যেখানে বিজেপি র একের পর এক বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করছে দলের বিরুদ্ধে ফলে নীচু তলার কর্মীবৃন্দ হতাশ হয়ে পড়েছে দলের কান্ডকারখানা দেখে সেখানে দলকে চাঙ্গা করতে এগিয়ে আসেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকাল থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংগঠনিক এবং উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে শহরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চরকির মতো চষে বেড়ালেন জেলা নেতা আশীর্বাদ ভৌমিক ও মন্ডল সভাপতি দেবাশীষ দাস কে সংগে নিয়ে। সকালে নিজের সাংসদ কোটা র টাকায় শহরের রাঙামাটি এলাকায় যাত্রী প্রতিক্ষালয় উদ্বোধন, পৌর নির্বাচন এর জন্য দেওয়াল লিখন, কার্য্যকর্তাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক এবং বিকেলে ১২ নং ওয়ার্ড এ প্রায় হাজার খানেক দরিদ্র শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ এর মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্তি করেন। তারই ফাঁকে সাংবাদিক সম্মেলনে
বিজেপির বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে খড়গপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের রিমুভ হওয়া প্রসঙ্গে মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করলেন। তিনি বললেন, আমার কাছে অন্তত দশটা গ্রুপ আছে, প্রতিদিন 200, 300 করে মেসেজ আসে। আমি কিন্তু গ্রুপ দেখিনা। তার কারণ কোন গ্রুপে আমি বিশ্বাস করিনা। বিধায়কদের প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা যিনি আছেন তিনি বলবেন। আমিও একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে পার্টির গাইডেন্স মেনে চলা উচিত। হিরনের এড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে দীলিপবাবু বলেন, এড়ানোর কিছু নেই, মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, পার্টির সঙ্গে থাকতে হবে এটাই নিয়ম। এ বিষয়টা পার্টির যারা দায়িত্বে আছেন তারা দেখবেন, সংগঠনের যারা দায়িত্বে আছেন তারা দেখবেন। কারা গ্রুপ বানিয়েছে কাকে রেখেছে, তার চিন্তা করা উচিৎ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে পৌরসভা নির্বাচনে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ...