শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ গত ২১ শে ডিসেম্বর শীতলকুচি কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে তদন্তে এলেন ৪ সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। সঙ্গে ছিলেন শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি বিশেষ দল।
প্রসঙ্গত, গত ২১ শে ডিসেম্বর শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী কলেজ যাওয়ার সময় পূর্ব পরিচিত এক যুবক তাকে গাড়িতে তুলে নেয় কলেজে নামিয়ে দেবে বলে। তাকে কলেজে না নিয়ে গিয়ে অন্যত্র শীতলকুচি বামন ঢোকা এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ফিরোজ, জমির, রাসেল এই তিনজন মিলে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। এই ধর্ষণকাণ্ডের একদিন পরেই পুলিশী তৎপরতায় মূল অভিযুক্ত জমির কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তারপর এক সপ্তাহের মধ্যেই বাদ বাকি দুজন ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত কে শিলিগুড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী সময়ে বামনডগা এলাকার যে বাড়িতে ধর্ষণ কাণ্ড ঘটিয়েছে সেই সেই বাড়িটিকে পুলিশ সিল করে দেয়। পাশাপাশি ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটি কেউ পুলিশ সিতাই থেকে খুঁজে বের করে আনে। আজকে দুপুর নাগাদ ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত বামনডগা এলাকায় ওই বাড়িতে তদন্ত করতে যায় ডক্টর মৌসুমী রক্ষিতের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি বিশেষ দল।
তদন্ত শেষ করে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ডক্টর মৌসুমী রক্ষিত বলেন, “আমাদের ৪ জনের একটি দল ঘটনার তদন্তে এসেছে। আজ ধর্ষণকাণ্ডে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ল্যাবরেটরীতে নিয়ে পাঠানো হবে। তারপর সমস্ত রিপোর্ট এলে সমস্ত কিছু বলা যাবে।”
এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি ডক্টর মৌসুমী রক্ষিত। এখন দেখার বিষয় ফরেনসিক দল যে তদন্ত করে গেলেন তার রিপোর্ট কি আসে। এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন শীতলকুচি সহ মাথাভাঙ্গার সমস্ত মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *