দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার বার্তা দিতে গঙ্গার উৎস স্থল গোমুখ থেকে ৯৮ দিন পায়ে হেঁটে কপিল মুনির মন্দির পৌঁছলেন হুগলির পরিবেশবিদ।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – তাঁর একটাই ইচ্ছে। যেনতেন প্রকারে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা। প্রকৃতিকে বাঁচতে দেওয়া তার নিজস্ব ছন্দে। তাই প্লাস্টিক বর্জন করার বার্তা দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন হুগলির বাসিন্দা তথা বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সঞ্জিত কুমার দাস।আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা কে দূষণমুক্ত রাখতে বিগত ৯৮ দিন আগে গঙ্গার উৎস স্থল গোমুখ থেকে তিনি পাঁয়ে হাঁটা শুরু করেছিলেন ২০২১ এর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে।দীর্ঘ ২০১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ৫ জানুয়ারি বুধবার পৌঁছেছেন গঙ্গার মিলনস্থলে। প্রায় তিন মাসের উপরে শত শত পথচলতি মানুষের সাথে তাঁর আলাপ হয়েছে। প্রত্যেককেই তিনি প্লাস্টিক বর্জন করে পরিবেশকে সুস্থ রাখার বার্তা দিয়েছেন। আর সেই বার্তা শুধু বার্তা হয়ে থেকে যায়নি।পরিণত হয়েছে সচেতনতা কর্মে। আর এই কাজে তাঁর স্ত্রী শুভদ্রা,পুত্র সৌম্যজিৎ,কন্যা অঙ্কিতা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের পাশাপাশি পাশে পেয়েছেন অগণিত মানুষজন।
৬৪ বছর বয়সেও তিনি একেবারেই যুবক। অইটিসিতে কর্মর্ত ছিলেন। বিগত চার বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। এর আগেও একাধিকবার পাহাড়ে চড়েছেন। এবার তাঁর অদম্য ইচ্ছে এবং নিঃস্বার্থ ভাবে প্রকৃতিকে ভালোবাসার জেদ আজ তাঁকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
তাকে দেখে মনে হবে পাগলের মতন ঘুরে বেড়াচ্ছেন পিঠ একটা বড় ঝোলা নিয়ে। কিন্তু না। বার্ধক্যে পৌঁছেও তিনি পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখার নিঃস্বার্থ দায়ভার যুবকের ন্যায় কাঁধে তুলে নিয়েছেন হুগলী জেলার ত্রিবেণীর মনসাতলা বাসুদেবপুর মেন রোডের বাসিন্দা সঞ্জিত কুমার দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *