প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অর্থাৎ 15 থেকে 18 বছর ছেলে মেয়েদের ভ্যাক্সিনেশন চলছে সরকারি নির্দেশ মত হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে। আজ সাঁকরাইল ব্লক এর দ্বিতীয় দিন। দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ সাঁকরাইল হাই স্কুলের প্রাঙ্গণে দেখা গেল ছাত্রদের উৎসুক উন্মাদনার ছবি । একে একে ছাত্র-ছাত্রী লাইন দিয়ে ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ করছে এবং পুরো ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামটি আনন্দ উপভোগ করছে। আজ মোট 260 জন ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এমনই জানালেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিমুন্য সামন্ত। সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণ খানিকটা চিন্তামুক্ত হলেন, কেননা যেভাবে হু করে মানুষকে আক্রান্ত করছে করোণা তাতে শঙ্কিত ছিলেন আপামর শিক্ষক কুল। কিভাবে এই টিনএজারদের করোণা থেকে দূরে রাখা যায় তারই চিন্তায়। অবশেষে সমস্ত চিন্তার বাঁধ ভেঙে দিয়ে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে 15 থেকে 18 বছরের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি কালবিলম্ব না করে টিকা দেয়ার উপর জোর দিলেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সহিত। একটা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ঝড় বইতে থাকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঙ্গে বাদ গেলেন না অভিভাবকগণও। ওমিক্রণ করোনার রূপান্তর মাত্র । বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী কুল এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না তার গতিবিধি। এখনো পর্যন্ত ওমিক্রণ মহামারী বা হাহাকারের পর্যায়ে না নিয়ে গেলেও আগামী দিনে কি রূপ ধারণ করবে তা নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ মহল। প্রবাদে আছে “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়” তেমনি অবস্থা হয়েছে সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক আজকের তলানিতে ঠেকেছে এই করোনা রুপি দানবের দৌলতে। যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে করণা বিষদাঁত দিয়ে ভেঙে দেয় বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো কে বাদ যায়নি ভারতবর্ষ। তথাপি টিকার দিক থেকে সারাবিশ্বে এগিয়ে আছে ভারত বর্ষ। ১০০ কোটির মাইলফলক অনেকদিন আগেই চুইয়ে ফেলেছে। লাগাতার করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষ বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে ডাক্তার নার্স ফ্রন্ট লাইনে যারা আছেন তাঁরাও। অক্লান্ত পরিশ্রমে করোণাকে কিছুটা ঘায়েল করা গেলেও রাজনৈতিক চালচিত্র এবং খেয়ালিপনা মানুষের বেপরোয়া মনোভাব করাল আতঙ্ক গ্রাস করতে চলেছে ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের। ডাক্তার বাবুদের সর্তকতা স্বত্তেও উৎসবে মেতেছে শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন। যার ফলশ্রুতি হিসেবে আজও প্রতিদিন করোনার পারদ হু করে বাড়িয়ে সরকারের হৃদ পিণ্ড নাড়িয়ে সক্ষম হয়েছে জীব শ্রেষ্ঠ প্রাণী। সত্যি প্রশংসার সর্বোচ্চ মুকুট এই অবাধ্য জনগণকেই দেওয়া উচিত । যারা কিনা করোনার সতর্কতার বাণী এখনো পর্যন্ত অগ্রাহ্য করে চলেছে অহরহ এমনই মত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের। এখন দেখার বেপরোয়া অবাধ্য জনগণ তাদের চালচলনের ফলে করোনা সংখ্যাধিক্যের পারদ কতটা উচ্চ সীমায় পৌঁছতে পারে তার দিকে তাকিয়ে আপামর চিকিৎসক কুল।