সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছাত্র ও ছাত্রীদের কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের ডেওয়া হলো হরিখালি বসন্তকুমার বানী মন্দির হাইস্কুলে।

0
700

মহিষাদল, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হরিখালি বসন্তকুমার বানী মন্দির হাইস্কুলে আদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছাত্র ও ছাত্রীদের কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের ডেওয়া হলো । গত ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের বিদ্যালয়ের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মহিষাদল ব্লকের আর কয়েকটি স্কুলের মতো আজ হরিখালি বসন্তকুমার বাণী মন্দির হাই স্কুলেও এই কর্মসূচি পালিত হয়। নবম, দশম ও টেস্ট উত্তীর্ণ প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রীকে আজ এই করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়।

আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে একটি সরকার নির্দেশিকা জারি করে বলেছিলেন যে ১৫ থেকে আঠারো বছরের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। টিকা না দিলে বিদ্যালয় আসা এবং পরীক্ষা দেওয়া কোনমতেই কার্যকর হবে না। এই নোটিসের ঠিক আটদিন পর অর্থাৎ আজ ৬ ই জানুয়ারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা নিতে দেখা গেল হরিখালি বানীমন্দীর হাইস্কুলে। প্রাথমিক একটু ভয় ছিল ছাত্রছাত্রীদের। তবে শেষমেষ সেই ভয়-ভীতি কে কাটিয়ে উঠে বাড়ির অভিভাবক এবং শিক্ষকদের কথামতো টিকা নিতে এল ছাত্রছাত্রীরা ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক, মানস দাস জানান- ”সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা অত্যন্ত সাধুবাদ জানাচ্ছি। যে অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা চলছি, আমরা চাইব আসতে আসতে সেই মেঘটা কেটে যাবে।। টিকা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দারুন সাড়া মিলেছে। কোভিড প্রোটকল মেনেই তারা স্কুলে এসেছে। এলাকার সকল অভিবকরাও বিষয়টি উৎসাহের সঙ্গে নিয়েছেন।” প্রধান শিক্ষক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষাদপ্তর, স্বাস্থ দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তাঁদের ঐকান্তিক সহযোগিতার জন্য। সেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন শীঘ্রই এই মহামরীর মেঘ কেটে যাবে। সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে। আবারও ছাত্রছাত্রীদের কলতানে মুখরিত হয়ে উঠবে স্কুল। সবাই এখন সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন।