মাথাভাঙ্গা রেল ষ্টেশনে করোনা পরীক্ষা শুরু করল স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসন।

0
393

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ পদাতিক এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেনের থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরিক্ষা করাল স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে। এদিন শিয়ালদহ থেকে নিউ আলিপুরদুয়ার গামী পদাতিক এক্সপ্রেসে আসা মাথাভাঙ্গা রেলস্টেশনে নামা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
রাজ্যের কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলোতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর জেলা প্রশাসন থেকে মহকুমা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক সংগঠিত হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলকাতা থেকে আসা সমস্ত রেলযাত্রীদের মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতেই আজ মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসে আসা যাত্রীদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংগৃহীত এই নমুনা আরটিপিসিআর করে তিনদিন পর যাত্রীদের রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে উল্লেখ্য, যে এ দিনের নমুনা সংগ্রহের সময় স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা খুবই কম থাকায় রেল থেকে নামা যাত্রীদের স্টেশন চত্বরে ভিড় জমে যায় এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রেলযাত্রীদের অভিযোগ সমগ্র প্রক্রিয়াতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে কিছু রেলযাত্রীকে নমুনা সংগ্রহের সময় দ্বিধাবোধ করতেও দেখা গেছে এদিন মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে।
মাথাভাঙার পঞ্চানন পাড়ার বাসিন্দা কলকাতায় নার্সিংয়ে পাঠরত চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ঈপ্সিতা রায় বলেন, ভবিষ্যতে যাতে রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব মানা হয় তা দেখার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। পাশাপাশি মহকুমা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঈপ্সিতা দেবী।
এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসক অচিন্ত্য কুমার হাজরা বলেন, মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে কলকাতা থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ৩ থেকে ৪ দিন পর পেয়ে যাবেন। তাদের সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং ফোন নম্বর নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন না পর্যন্ত তাদের করোনা রিপোর্ট চলে না আসে। স্বাস্থ্য কর্মী পর্যাপ্ত নেই সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।