ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার সহযোগিতায়,সোমবার বিদ্যামন্দিরে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।

0
250

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রক্ত সংকট। বিগত দুই বছরে করোনা অতিমারীর প্রকোপে তার মাঝে চরম রক্ত সংকটে ধুঁকছে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লাড সেন্টারগুলি। রক্ত সংকট চরম আকার ধারণ করে সাধারণত গ্রীষ্মের দিনগুলোতে কিন্তু এবার হঠাৎ করে শীতকালে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। তার মাঝে মালদা জেলার মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড সেন্টারে রক্তের সংঙ্কট । একদিকে যেমন রক্তের চরম সংকট অন্যদিকে করোনা অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের চাপ রক্ত সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দু ‘চারটা শিবির হতো তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে করোনা জেরে। করোনা বিধি লাগু হওয়ার জন্য সমস্যায় পড়ছে রক্তের নিয়মিত ব্যবহারকারীরা বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া ও ডায়ালিসিস গ্রহণকারী রোগীরা। বিশেষ করে এই সব রোগীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে করোনাকে উপেক্ষা করে করোনা বিধি মেনে বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট শ্রীশ্রী ঠাকুর তপবন বিদ্যামন্দিরের উদ্যোগে, পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াস ও ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার সহযোগিতায়,সোমবার বিদ্যামন্দিরে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শিবিরে ৫০ বারের রক্তদাতা বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক শ্রীগৌতম রায় রক্ত দিয়ে শিবিরের শুভ সূচনা করেন। ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার পক্ষ থেকে তাকে ৫০ বারের রক্তদাতা হিসেবে “ব্লাড হিরো” সম্মানে ভূষিত করা হয় শ্রী গৌতম রায় কে। উক্ত শিবিরে ৫০ জন রক্তবন্ধু রক্ত দান করেন। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর তপবন বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার মন্ডল, সম্পাদক সুশান্ত সরকার, পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াসের সভাপতি ডাঃ তুষার কান্তি বণিক, সহ-সভাপতি তপন রায়,ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ মালদা শাখার সম্পাদক নিরঞ্জন প্রামানিক, সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের সমাজকর্মী সুরজিৎ মন্ডল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শম্ভুনাথ সাহা, জাগরণ মালদার কর্ণধার শুভজিৎ দাস প্রমুখ। ২০২১ সালে করোনা অতিমারী কালে পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াস একক ভাবে ৩৫ টি শিবিরের মাধ্যমে ১১১৮ জন মানুষকে স্বেচ্ছা রক্তদানের কাজে আনতে পেরেছেন। উক্ত মহান সমাজ কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার পক্ষ থেকে “বেস্ট অর্গানিজেশন অফ দা ইয়ার ২০২১” সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াসের সম্পাদক ‘রক্তপাগল’ বরুন সরকার আবেগ প্রবন হয়ে বললেন এত কাজ করেছি তার হিসাব রাখিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অসুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই শুধু কাজ করেছি আর এ কাজের হিসাব যে অন্য কেউ রাখেন আর তা পুরস্কার হিসেবে নিজের কাছে ফেরত আসতে পারে তা ভাবতে পারছি না। মনে হয় ভগবান সত্যিই আছেন আর এ পুরস্কারের ভাগীদার টিম পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াস। রক্তদান শিবির আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াস ও ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখা। শিবিরে প্রত্যেক দাতাকে সবুজ সৃষ্টির জন্য চারাগাছ ও করোনা প্রতিরোধে মাস্ক প্রদান করে সকল রক্তদাতার ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার জেলা রক্তদান শিবির আহ্বায়ক অনিল কুমার সাহা মহাশয়।