খবরের জেরে ক্যান্সার আক্রান্তয় মৃত বুলি নন্দীর হতভাগ্য মেয়ে শ্রেয়া নন্দীর পড়াশোনার জন্য ৫০০০০ হাজার টাকা তুলে দিলেন জিয়াউল আনসারী।

আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্ৰামের এক সর্বস্বান্ত পরিবারের দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরা হয়েছিল গত 18ই ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

সম্পূর্ণ দুঃস্থ পরিবারের প্রধান দিলীপ নন্দী পরের ক্ষেত খামারে জনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালান, বসত ভিটেটুকু ছাড়া নিজস্ব জমি-জায়গা বলতে কিছুই নেই , যাওয়া বা সামান্য কিছু ছিল তাও সবই গেছে ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী বুলি নদীর চিকিৎসার জন্য।
ক্যান্সার আক্রান্ত মা বুলি নন্দী‌র সর্বক্ষণের সেবায় নিয়োজিত শ্রেয়া নন্দী ওই অসহায় দম্পতির একমাত্র হতভাগ্য মেয়ে। সবেমাত্র মাত্র নবম শ্রেণীতে পাঠরতা শ্রেয়া নন্দীই ছিল ক্যান্সার আক্রান্ত মরনাপন্ন মায়ের একমাত্র সেবিকা।
শ্রেয়া নন্দীর কঠোর পরিশ্রম এবং অসহায় বাবা দিলীপ নন্দীর সমস্ত রকম চেষ্টা কে ব্যর্থ করে গত ২৮ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাঁকুড়া হাসপাতালে পরিবার-পরিজনদের দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত করে স্বামী ও মেয়েকে সম্পুর্ন একা করে এই পৃথিবীর সঙ্গে সমস্ত আত্মিক বন্ধন বিচ্ছিন্ন করে চলে যান অমৃতলোকে। অসময়ে মাকে হারিয়ে শোকে-দুঃখে ভেঙে পড়েছিল শ্রেয়া নন্দী।

কর্তব্যে অবিচল একরত্তি মেয়ে শ্রেয়া নন্দীর কঠিন লড়াই দেখে হৃদয় হাহাকার করে উঠেছিল পুরুলিয়া জেলার কলকাতা পুলিশে কর্মরত জিয়াউল আনসারী ।
হতভাগ্য মেয়ে শ্রেয়া নন্দী এবং দুঃস্থ বাবা দিলীপ নন্দীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, শ্রেয়া নন্দীর পড়াশোনার জন্য 50 হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন শ্রেয়া নন্দীর হাতে।
শুধু দিলীপ নন্দীর পাশেই নয় এভাবেই তিনি বিগত দিনে বহু দুঃস্থ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জীবন্ত ঈশ্বরের মতোই। পেশায় পুলিশ হলেও জিয়াউল আনসারী যে প্রকৃত একজন মানুষ তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এই কর্ম।
অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও আগামী দিনের জন্য থাকলো শুভকামনা।
সুস্থ থাকুন, স্বাভাবিক থাকুন, মানুষের জন্য কাজ করুন জিয়াউল আনসারী বাবু, করুণাময়ের কাছে আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *