রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কৃষি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চন্দনা আজ স্বাবলম্বী।

0
399

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চন্দনা সরদার, দক্ষিন ২৪ পরগনার প্রাকৃতিক সৌন্দের্য্যে ভরপুর সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের মহেশপুর গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের গৃহবধূ। পারিবারিক কৃষিকাজ ও প্রাণিপালন-ই চার সদস্যের পরিবারটির মূল জীবিকা, যদিও যা রোজগার হয় বর্তমান মূল্যস্তরে তা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। আর তাই চন্দনার স্বপ্ন স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের আর্থিক বাজেটকে কিছুটা সাহায্য করার। কিন্তু পথপ্রদর্শক কে ???
সৌভাগ্যবশতঃ, গত বছর গ্রামের এক এন জি ও কর্মীর কাছ থেকে চন্দনা জানতে পারেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ নম্বর সহ জীবন জীবিকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কথা। প্রথমে ইতস্ততঃ করলেও পরে হেল্পলাইনে ফোন করে অভিজ্ঞ কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে কৃষি সংক্রান্ত তথ্যের আদান প্রদান শুরু করেন চন্দনা। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ধীরে ধীরে বাড়ে নতুন কৃষি উদ্যোগ নেওয়ার। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের মে মাসে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে মাশরুম চাষের বিষয়টি জানতে পারেন। পাশাপাশি হেল্পলাইনের মাধ্যমেও বিশেষজ্ঞদের নির্দেশমতো বাড়িতেই শুরু করেন মাশরুম চাষ, কারণ সুন্দরবন্দর আবহাওয়ায় মাশরুম চাষ অন্যতম লাভজনক কৃষি ফসল।
বর্তমানে চন্দনা পাঁচটি মাশরুম বেড থেকে প্রতি সাত থেকে দশ দিন অন্তর প্রায় তিন কিলোগ্রাম করে মাশরুম উৎপাদন করছেন এবং মাসিক আয় প্রায় ২০০০/- থেকে ৩০০০/- টাকা। এলাকায় যথেষ্ট চাহিদা থাকায় বাসন্তী বাজারেই বিক্রি হয় যায় মাশরুম। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণে ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী আলোচনায় অনুপ্রাণিত হয় গ্রামেরই আরো কয়েকজন মহিলাকে শেখাচ্ছেন মাশরুম চাষের খুঁটিনাটি।
কৃতজ্ঞ চিত্তে চন্দনা আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন ” গ্রাম বাংলার মহিলাদের অনেকেরই স্বপ্ন স্বাবলম্বী হওয়ার। কিন্তু সুযোগের অভাবে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য পরিষেবা ও প্রশিক্ষণ আমাদের জীবনে প্রকৃত অর্থেই উত্তরণের মঞ্চ ” ।
এভাবেই গ্রামবাংলার শত শত চন্দনার পাশে দাঁড়িয়ে জীবন জীবিকার মঞ্চে সদা সচেষ্ট রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিবার।