সঙ্গীদের তৎপরতায় বাঘের মুখ থেকে প্রাণে বাঁচলেন মৎস্যজীবী,হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

0
381

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের সম্মূখীন হলেন এক মৎস্যজীবী।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের বেনিফেলি জঙ্গলের নদীখাঁড়িতে।
বাঘের সাথে লড়াই করে তার মুখ থেকে ছাড়িয়ে আনলেন সঙ্গী দুই মৎস্যজীবী। বর্তমানে জখম ওই মৎস্যজীবী কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে কুলতলি থানার দেউলবাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর সরদার। প্রতিবেশী দুই সঙ্গী শ্যামল ও সুনীল মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার সুন্দরবনের বেনিফেলি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন।বেশ কয়েকদিন তাঁরা কাঁকড়া ধরছিলেন।সকলের অলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে আচমকা একটি বাঘ সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে।শঙ্কর কে টার্গেট করে।মুহূর্তে সরাসরি নৌকাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একলহমায় শঙ্করের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেয়।ধ্বস্তাধ্বস্তি করে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।সেই মুহূর্তে দুই সঙ্গী শঙ্কর কে বাঘের মুখ থেকে বাঁচাতে নিজেদের জীবন উপেক্ষা করে নৌকায় থাকা লাঠি, বৈঠা নিয়ে চিৎকার শুরু করে।হতভম্ব হয়ে ভয় তেয়ে যায় বাঘ। শিকার ছেড়ে জঙ্গলে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।এরপর দুই সঙ্গী আহত মৎস্যজীবী কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নৌকায় তোলে।দীর্ঘ নদী পথ নৌকা চালিয়ে সঙ্গীরা ওই মৎস্যজীবীকে গ্রামের জেটি ঘাটে আনেন।ঘনিয়ে আসে অন্ধকার।রাতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে।সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।