পদ্ম-যোগের এক বছরেই মোহভঙ্গ,পৌর নির্বাচনের আগেই অধিকারী গড়ে বড় ভাঙ্গন,অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরা, বছর ঘুরতেই আবার তৃণমূলে যোগদান ওইসব কর্মী-সমর্থকেরা।তবে পৌরসভা নির্বাচনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির বিজেপিতে ভাঙন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা। তবে ভাঙন- তত্ত্ব মানতে নারাজ সৌমেন্দু অধিকারী।সব কিছু ঠিক থাকলেই পূর্ব মেদিনীপুরে পৌর নির্বাচন হবে আগামী ২৭ফ্রেব্রুয়ারি। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে। নিত্য শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। যদিও এই সব ওঠা অভিযোগ সর্ব ক্ষেত্রেই অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এই নির্বাচন হবে অধিকারীদের গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাস তালুক কাঁথি পৌরসভা এবং তমলুক, এগরা পৌরসভায়।নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই ফিরে এসেছে দলবদলের রাজনীতি। যেটা ট্রেন্ডিং হয়েছিল একুশের নির্বাচনের আগেও। গত বছর ১লা জানুয়ারি বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ওঁর ছোট ভাই কাঁথি পৌর সভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালিত পুরো কাউন্সিলরদের বোর্ডই যোগ দান করেন। কাঁথির ডর মেডরি ময়দানে বিজেপির যোগদান মেলায় পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।এক বছর এক মাস পূর্ণ করার পর ফের তৃণমূলে ফিরলেন কাঁথি পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর-সহ পাঁচ নেতা। মঙ্গলবারই তৃণমূলে যোগ দান করেছেন অতনু গিরি, সোনা বেরা। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপিতে কাজের সুযোগ নেই। শুধুই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলছে। ভ্রান্ত নীতিতে দলের আদর্শ বিচ্যুত। বুধবার ফের ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেবেন বাকি তিন জন- উত্তম মহাপাত্র, কমলা বেরা, সত্যেন জানা। ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূল সাংগঠনিক নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।কাঁথি পৌর এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে পটাসপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক, প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীদের উপস্থিতিতে প্রাক্তন দুই কাউন্সিলর অতনু গিরি, সোনা বেরা মঙ্গলবার যোগদান করেন। তৃণমূলে ফিরে অতনু গিরি বলেন, “একুশের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সবই পূরণ করেছেন। ওঁর কর্মকাণ্ডের প্রতি আসক্ত আমলা সকলেই। তাতেই ভুল বুঝে দলে ফিরছি।”সূত্রের খবর ,আগামী ৬ ই ফ্রেব্রুয়ারি থেকে জেলার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি, এগরা, তমলুক পৌরসভার প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যে শেষমেশ কী তালিকা প্রকাশ হয়. তার দিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
যদিও এই দলবদল কিছুতেই পদ্ম শিবিরকে সমস্যায় ফেলবে না বলেই মত আদি বিজেপি নেতাদের। সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা নিজেদের আদর্শ নিয়েই এসেছিলেন। নিজেদের স্বার্থ মেটেনি, তাই চলে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু কী স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট করেন তিনি। এখানে সম্মানের সঙ্গেই কাজ করেছিলেন তাঁরা। ” তবে নির্বাচনের প্রাক্কলে দুই জেলার সাংগঠনিক চরিত্র বদল বেশ বিপাকে পড়তে হবে বলেই মত অনেকের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *