দিনহাটায় বিজেপির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি চার্জে আহত তৃণমূল কর্মী।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ দিনহাটায় বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতিতে তাঁদের দিনহাটা পুরসভা প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, যেখানে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কি করে মহকুমা শাসকের দফতরের ভিতরে কি করে প্রবেশ করেছে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মহকুমা শাসকের দফতর থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় বাহিনী মহকুমা শাসকের দফতর থেকে বের হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে দফতরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন বাবু বলেন, “রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় পুরসভা নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাথে নিয়ে কি করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে মহকুমা শাসকের দফতরের ভিতরে ঢুকে পড়েছে বিজেপি প্রার্থী। ওই নির্দিষ্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের যেমন প্রবেশ নিষেধ, তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনীরও প্রবেশ নিষেধ। পুলিশকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ওই নির্দিষ্ট এলাকার থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
অন্যদিকে বিজেপির দিনহাটা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মদনমোহন গোস্বামীর অভিযোগ, তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা তাঁকে বাধা দিয়েছে। মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেওয়ার জন্য আনা প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ একটি ব্যাগ কেরে নিয়ে চলে গেছে। প্রশাসন তাঁদের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের ভিতর আটকে রেখে দিয়েছে। সকাল ১১ তাঁর আগে অফিস খুলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
মদনমোহন বাবু বলেন, “এটা কি ধরনের নির্বাচন হচ্ছে। প্রশাসন মনোনয়নপত্র জমা না নিয়ে আমাদের আটকে রেখে দিয়েছে। পুলিশের সামনেই আমার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
দিনহাটায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি বলেন, “দুয়ারে প্রহারের এটাই হচ্ছে নমুনা। আমাদের প্রার্থীদের হাত থেকে পুলিশের সামনেই মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের স্ত্রীদের বিধবা বানানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখানে জংগলের রাজত্ব চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। এর আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *