ঘটনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই গুণধর শিক্ষককে তড়িঘড়ি অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

এিপুরা-তেলিয়ামুড়া, রাহুল দাস:- তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষকের অনৈতিক কান্ড কে যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, শিক্ষা দপ্তর কার্যত সে অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে বলা চলে। ঘটনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই গুণধর শিক্ষককে তড়িঘড়ি অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

সংবাদে প্রকাশ, গত সোমবার এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অভাব্য আচরণ করার অভিযোগ কে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাসের সঙ্গে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের বচসা হয়েছিল। এই সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ও হয়েছিল। এই সংবাদের জের ধরেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর নড়ে-চড়ে বসে ওই গুণধর শিক্ষককে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অন্যত্র বদলি করে উচিত শিক্ষা দিল।
তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণয় দেববর্মা সহ বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির মাতব্বররা ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরেই ওই শিক্ষক তথা বাম আমলের নারীনেত্রীর পুত্র এবং বর্তমান শাসক দলের ছত্র-চ্ছায়ায় লালিত-পালিত চরিত্রহীন শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস’কে চেবরী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে বদলি করে দেয়।
বলা চলে সঞ্জয় কুমার দাসের মতো একাংশ শিক্ষকেরা রাজনীতির নামাবলী গায়ে পড়ে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনকে কূলষিত করছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী চাইছেন রাজনীতি মুক্ত থাকুক শিক্ষাঙ্গন, কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাম আমলের গুণধর নারীনেত্রীর সু-পূত্র সঞ্জয় কুমার দাসের মতো একাংশ শিক্ষকদের কারণে শিক্ষাঙ্গনের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রনয় দেববর্মা জানিয়েছেন,,, ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগের কোনো সত্যতা তিনি পাননি। এবং ছাত্রীর অভিভাবকের তরফ থেকেও কোনো প্রকার অভিযোগ আসেনি। তাই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও তিনি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের কোন রিপোর্ট পাঠায়নি। তবে কি কারণে শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট নন।
বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যানের এই ধরনের আচরণ সংবাদ মাধ্যমের প্রতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বর্তমান সমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *