শহরের 13 নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে অজয় দে র ছবি ব্যবহার করার কারণে, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল প্রার্থী।

0
129

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জেলা হোক বা রাজ্য পৌরসভা হোক বা পঞ্চায়েত সব স্তরের বর্তমান তৃণমূল নেতৃত্ব অতীতে জাতীয় কংগ্রেসের আদর্শে এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তীতে তৃণমূল দল গঠন করার পর অনেকেই সে দলে যোগদান করে, যার মধ্যে শান্তিপুরের অজয় দে অন্যতম। কিন্তু অতীত মোছে না কিছুতেই, থেকে যায় স্মৃতির পাতায়। আর সেই নিদর্শনই দেখা গেলো শান্তিপুর শহরের 13 নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ দত্তের শ্রদ্ধায়। কিছুদিন আগে তিনি নমিনেশন জমা দেবার প্রাক্কালে প্রয়াত অজয় দের মূর্তিতে মাল্যদান করে, তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে শুরু করেন প্রচারকার্য। এ বিষয়ে তিনি বলেন তাঁর হাত ধরেই ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে প্রবেশ। মতাদর্শগত ভাবে আমি তৃণমূলে পরিবর্তিত না হলেও আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু তৎকালীন কংগ্রেস নেতা অজয় দে।
কিন্তু ওই 13 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রশান্ত গোস্বামীও তার নমিনেশন জমা দেওয়ার আগে এভাবেই আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধেও লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কে পরাস্ত করতে কতটুকু আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ দত্ত?
তবে কিছুদিন পার হতেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরো চড়লো। কংগ্রেস প্রার্থী প্রচারের ফ্লেক্স ব্যানারে উঠে আসলো অজয় দে, তার দাদা অসমঞ্জ দে, কুমারেশ চক্রবর্তীর মত বর্ষিয়ান ডানপন্থী নেতৃত্ব। আর তাতেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর পিতা 13 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রশান্ত গোস্বামী। তিনি বলেন এতে তিনি যদি আমৃত্যু কংগ্রেস থাকতেন সে কথা আলাদা হতো, কিন্তু কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভে তৃণমূলে যোগদান করেন স্বইচ্ছায়। এই ঘটনার ফলে একদিকে যেমন অজয় দের রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত ভাবে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে তেমনি, তৃণমূলকেও অপমানিত করা হয়েছে। ভোটের স্বার্থে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই অজয় দে র মূর্তি উন্মোচনের সময়, আমার কি কোন স্মরণসভায় তাকে দেখা যায়নি। নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে, অজয় দে র ভাবমূর্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে তলানিতে পৌঁছে যাওয়া জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন জাতীয় কংগ্রেসের ওই প্রার্থী।
অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ দত্ত জানান, অতীতের কংগ্রেস ভবন তৃণমূল ভবনে পরিণত হয়েছে তৎকালীন লাখো লাখো কংগ্রেস কর্মীদের সাথে আলোচনা ছাড়াই। জাতীয় কংগ্রেসের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্যার অসমঞ্জ দের মূর্তি তৃণমূল ভবনে রয়েছে, অথচ তৃণমূল তৈরি হওয়ার আগেই তিনি প্রয়াত হন। বিশিষ্ট জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রয়াত বলরাম ঘোষ কোনদিন তৃণমূল না করলেও তাঁর ছবি শান্তিপুর তৃণমূল ভবনে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে। এরকম বহু উদাহরণ আছে। আসলে 13 নম্বর ওয়ার্ডের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এ ধরনের নানান ভাবে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী কে অপমান অপদস্ত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল প্রার্থী। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আছে, তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই মাথা পেতে নেবো।