ঐতিহ্যবাহী হুজুর সাহেবের মেলায় সম্বর্ধিত হলেন কোচবিহার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন।

0
258

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ করোনা আবহে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক জমায়েতে। তবে দীর্ঘ দু’বছর পর পুরনো ছবি ফিরল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী হুজুর সাহেবের মেলায়। করোনার কারণে প্রায় দু’বছর হুজুর সাহেবের মেলা সে ধরনের কোনো ভিড় লক্ষ করা যায়নি।
হলদিবাড়ি হুজুর সাহেবের মেলা এর সুনাম রয়েছে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। মেলার প্রথম দিন সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ সহ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী হুজুরের মাজার সহ মেলা চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পুরনো ছন্দে মেলা জমে উঠে খুশি হুজুরের বংশধর একরামিয়া ইসালে সোয়াব কমিটির কর্মকর্তা, ভিখারী থেকে স্থানীয় মানুষ সকলেই।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আটাত্তরতম একরামিয়া ইছালে সওয়াব এর সূচনা করেন কমিটির সভাপতি তথা হুজুরের বংশধর গদ্দিনশীন হুজুর সৈয়দ খন্দকার নুরুল হক।শুক্রবার সরকারিভাবে মেলা শুরু হতেই সকাল থেকে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী হুজুরের মাজারের ধূপকাঠি ও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে দোকানে চলে দেদারছে বেচাকেনা।মেলায় রকমারি বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।
এদিন সন্ধ্যার দিকে মেলায় আসেন রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী তিনি কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হুজুরের মাজারে যান। সেখানে ধূপকাঠি ও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন। তারপর শুক্রবার হলদিবাড়ি তে হুজুর সাহেবের মেলা তে সপরিবারে জান কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন। সেখানে তিনি হুজুর সাহেবের মাজার এ যান এবং সেখানে ধুপকাঠি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন পরিবারের সঙ্গে।সেখানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন কে হুজুর সাহেবের মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন।
হিতেন বর্মন বলেন, এই মেলা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী, এখানে প্রচুর মানুষজনের অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেল এ বছর।কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল গত দু’বছর করোনার কারণে খুব বেশি দোকানপাট কিংবা মানুষের ভিড় অতটা জমে উঠেনি কিন্তু এ বছর খুব সুন্দর ভাবে মেলা চলছে নিরাপত্তার’কোন অসুবিধা নেই। পাশাপাশি মেলা কমিটির পক্ষ থেকে পূণ্যার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে।