স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অশান্তি,বাপের বাড়িতে দুই সন্তান সহ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী গৃহবধূ।

0
261

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে লাগাতার অশান্তির কারণেই অসহ্য যন্ত্রণা সহ করতে না পেরে দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হলো এক গৃহবধূ। শনিবার এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি ব্লকের অন্তর্গত মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার ভুবনেশ্বরী পয়লাঘেরি গ্রামে।মৃত তিন জনের নাম বুল্টি মন্ডল(২৫), মনিকা মন্ডল (৯), মানস মন্ডল(৫)।পয়লাঘেরি গ্রামের বাসিন্দা বুল্টির সঙ্গে প্রায় বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল একই থানা এলাকার বিনোদপুর গ্রামের দীপক মন্ডলের। দীপক পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সে ব্যাঙ্গালোরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। দম্পতির ৯ বছরের কন্যা সন্তান মনিকা ও ৫ বছরের পুত্র সন্তান মানস রয়েছে।সে সবের মধ্যেই দীপক পাড়ার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে লাগাতার অশান্তি চলছিল দম্পতির। সেই সম্পর্কের প্রতিবাদ করতেই দীপক বুল্টিকে মারধর সহ অকথ্য অত্যাচার পর্যন্ত করতো। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার গন্ডগোল হয় দম্পতির।বুল্টির বাপের বাড়ির লোকজন দীপকের বাড়িতে গিয়ে যাতে তারা মিলেমিশে সংসার করতে পারে সেই পরামর্শও দিয়ে আসেন। কিন্তু তার পরেও বুল্টিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যে কারণে বুল্টি রাতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চলে আসে বাপের বাড়িতে।এরপর শনিবার যখন বুল্টির বাবা মহাদেব হালদার পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিল সেই সময় তার নজরে আসে যে ঘরের মধ্যে থেকে কালো ধোঁয়ার কুন্ডুলি বের হচ্ছে। সাথে সাথেই তিনি ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন সেখানে মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা ঘরের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুনের মধ্যে জ্বলছে। এরপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে তাদের কে উদ্ধার করতে আসে প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষণে তিনজনেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মৈপীঠ উপকূল থানার ওসি মধুসূদন পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় গিয়ে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে মৃত বুল্টি মন্ডলের স্বামী দীপক মন্ডল। তাকে ধরতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here