নদীর উপর ঝুঁকে পড়া কাঠের সেতু,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত গ্রামবাসীদের,বরাদ্দ হল ৫ কোটি।

0
518

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – জীবনতলা থানার অন্তর্গত হেদিয়া ও মৌখালি।দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে মাতলার শাখা মৌখালি নদী।বিগত দিনে সাধারণের সুবিধা এবং দুই গ্রামের সংযোগ ও যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি কাঠের সেতু নির্মিত হয়েছিল।যার ফলে খুব কম সময়ে হেদিয়া কিংবা মৌখালি হতে ক্যানিং পৌঁছানো যাবে।সেতুটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।চলাচল করে ছোট ও মাঝারী ধরণের যানবাহনও।বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সেতুটি একদিকে হেলে পড়ে প্রায় ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে।এছাড়াও বর্তমানে প্রাণ হাতে করে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হয় গ্রামবাসী সহ গাড়ি চালকদের।ভগ্নদশা কাঠের সেতুটির দুপাশে কোন রেলিং নেই। ফলে যেকোন মুহূর্তে নদীতে পড়ে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়ে সলিল সমাধি ঘটতে পারে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবী অবিলম্বে একটি কংক্রীটের ব্রীজ তৈরী হোক। তাহলে আমরা নির্ভয়ে নদীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবো।
ব্রীজের বেহাল দশা প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা জানিয়েছেন ‘ঘটনাটি জেনেছি।হেদিয়া-মৌখালির মানুষজন যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য অস্থায়ী ভাবে একটি কাঠের ব্রীজ তৈরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুই এলাকার সংযোগ ঘটাতে একটি কংক্রীট ব্রীজ তৈরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যারজন্য ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা। আগামী আঠারো মাসের মধ্যে কংক্রীটের তৈরী ব্রীজ টি হয়ে গেলে এলাকার সাধারণ মানুজন থেকে শুরু করে হাজার হাজার যানবাহন অবাধে যাতায়াত করতে পারবে।’