শুধুমাত্র আইওয়াশ, রাজ্যের সিবিআইয়ের অনেক কেস রয়েছে কিছুই হয়নি,আনিসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চন্দ্রকোনা থেকে এমনটাই মন্তব্য সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষের।

0
335

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- দিল্লি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে সিবিআই আর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ,সিট গঠন শুধুমাত্র আইওয়াশ।রাজ্যে সিবিআইয়ের অনেক কেস রয়েছে কিছু হয়নি,আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছি,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভায় সিপিআইএম প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে আনিস খাঁন হত্যা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেন সিপিআইএম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।এদিন সিপিআইএম প্রার্থীদের নিয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার গাজীপুর থেকে জয়ন্তীপুর পর্যন্ত মিছিল করেন সুশান্ত ঘোষ।মিছিল শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনিস খাঁন হত্যা প্রসঙ্গ তোলেন সুশান্ত ঘোষ।মৃত আনিস খাঁনের পরিবার এমনকি আমতা থানার কনস্টেবল কাশীনাথ বেরা গ্রেফতার হওয়ার পর তার স্ত্রীও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।সে প্রসঙ্গে সুশান্ত বাবু বলেন,”সিবিআই কেনো আমরা তো বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছি।সিবিআইয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আছে বলে মনে হয়না,পশ্চিমবঙ্গে এতো কেস সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে তার কিছু হয়নি।সিট গঠন শুধুমাত্র আইওয়াশ ছাড়া কিছুই না,দিল্লি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে সিবিআই আর রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ।সিট,সিআইডি সবই রাজ্য সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলে।রাজ্য সরকার যেটা বলে দেয় সেটাই তারা এস্টাব্লাইসড করে।এসপির সাসপেন্ড হওয়া উচিত ছিল যে এসপিকে আগেই জানানো হয়েছিল প্রান সংশয় নিয়ে,মৃত্যুর তিন দিন আগেও জানানো হয়েছিল কেনো সেই এসপিকে সাসপেন্ড বা বরখাস্ত করা হলনা রাজ্য সরকারের তরফে এমনই দাবি করেন তিনি।আনিসের মতো একজন প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য রাজ্যের শাসকদল তাকে খুন করে তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেছে বলেও মন্তব্য করেন সুশান্ত ঘোষ।আনিস কান্ডে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেন সুশান্ত বাবু,”আজকে গোটা রাজ্য জুড়ে ছাত্র যুবরা উত্তাল,শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তারাও রাস্তায় নামছেন।যদেরকে একসময় আমরা বুদ্ধিজীবী বলে জানতাম অনেকেই এখন বুদ্ধিজীবী নই তারা এখন বিক্রি হয়েগেছেন মুখ লুকিয়েছেন।”