স্বামীর হাতে আক্রান্ত গৃহবধু, ভাঙলো পা।

0
269

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং : – স্বামীর হাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রতিমা সরদার নামে এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় ২৫ বছর আগে দাঁড়িয়ার সুন্ধিপুকুরিয়া গ্রামের প্রতিমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ক্যানিংয়ের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের হরেন সরদারের। দম্পতির ২২ বছরের এক ছেলে ও ১৮ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
বিগত প্রায় বছর দশেক আগে অর্থনৈতিক কারণে সমস্যায় পড়ে সরদার পরিবার।সংসারের হাল ধরার জন্য কলকাতায় পরিচারিকার কাজ শুরু করেন প্রতিমা। এরপর দুই ছেলেমেয়ে কে বিয়েও দিয়ে দেয়।অভিযোগ কলকাতা থেকে কাজ সেরে বাড়িতে ফিরলেই স্বামীর সাথে অশান্তি তৈরী হতো ।এক সময় ওই গৃহবধুর স্বামী কলকাতায় কাজ করতে যেতে বাধাও দেয় তাকে। বাধা স্বত্বেও কলকাতায় কাজ করতে যেতেন ওই বধু।বুধবার রাতে কলকাতা থেকে কাজ করে বড়িতে ফিরেছিলেন ওই গৃহবধু। অভিযোগ সেই সময় ঘরের গ্রীলের মধ্যে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে তার স্বামী হরেন সরদার। এরপর লোহার শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ডান পা ভেঙে দেয়।গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধু যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। প্রতিবেশীরা দৌড়ে গিয়ে ওই গৃহবধুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই গৃহবধুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কজনক হলে তাকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
গৃহবধুর অভিযোগ যখন সংসার চালাতে হিমশীম খেতে হচ্ছিল স্বামী কে,তখন থেকে কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করে সংসারের হাল ধরি। দুই ছেলে মেয়ে কে বড় করে বিয়েও দিয়ে দিই।আমার স্বামী আমার উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেো। সহ্য করতে না পেরে ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করে।আমি কলকাতায় কাজ করতে গেলেই আমাকে সন্দেহ করতো। এর আগে বহুবার অত্যাচার করেছে। এদিন আচমকা আমাকে লোহার গ্রীলে বেঁধে মারধর করে পা ভেঙে দেয়। ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ওই গৃহবধুর স্বামী হরেন সরদার।সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here