এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

0
367

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  এক গৃহবধূকে খুন করে বিছানায় ফেলে রাখার অভিযোগ স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে মেরে ঘরের ভিতরে ফেলে রেখে দেয়, এরপর বাড়ি ছেড়ে পলাতক হয়ে যায় গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি শান্তিপুর থানা এলাকার মানিকনগর চর এলাকায়। জানা যায় মৃত গৃহবধূর নাম শর্মিষ্ঠা বিবি, বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর ব্লকের ভোলাডাঙ্গা এলাকায় ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি। গত ৬ বছর আগে বিবাহ হয় শান্তিপুর থানা এলাকার মানিক নগর চর এলাকায়। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূর বিবাহ হওয়ার পর থেকেই তার স্বামী হাসান সেখ তার উপরে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাত, এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ি অন্যান্য লোকজন মদত দিত তার স্বামীকে। প্রতিনিয়ত ওই গৃহবধূর উপরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ওই গৃহবধূ মাঝেমধ্যে তার পরিবারকে জানাতো। গতকাল রাতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখে ওই গৃহবধূ কাঁথা চাপা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, এবং ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। খবর দেয় শান্তিপুর থানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ এরপর ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এর পরেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এলাকার স্থানীয় থেকে শুরু করে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের মধ্যে। অভিযোগ ওই গৃহবধূকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখে, এছাড়াও প্রতিবেশীরা টের না পাওয়ার আগেই ওই গৃহবধূকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে তার আগেই জানতে পেরে যাই প্রতিবেশীরা। গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, যদিও গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়। শনিবার মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ এছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here