নৈশ প্রহরীর অজগর ও অনুচ্চারিত ডাইটর ফাইভ নৌকা : নিমাই জানা।

0
334

নবম লিঙ্গের ধাতব ছায়া আর সাদা নৌকার জরায়ুজ গর্ভকেশরের পরাশ্রয়ী কঙ্কাল গুচ্ছ আমার পিতৃপুরুষের মতো চৌরাস্তায় শুয়ে আছে স্বরবর্ণ দাঁত নিয়ে ,

রজোঃ রক্ত মেশানো ক্রোমাটিন আসলে লম্ব বৃত্তাকার শ্মশান ঘাটের চাঁদের শরীর , স্তন্যপায়ীরা সবাই বিষধর সাপের সেবায়েত পুরোহিত হতে পারে না , এক টুকরো আগুন জানে প্রতিটি সহবাসের আগে রঙ্গন ফুলের ঊর্বশী কথাই শ্রেয় ছিল পর্ণমোচী হয়ে যাওয়ার মাইক্রো ভগ্নাংশের আগে , আমার সন্তান সমকোণে বসেই দেখে নেয় আমাদের প্রাচীন সূক্ষ্মকোণ রীতি , একটা ময়ূরীর উদোম হয়ে যেতে তিন মন্বন্তর কাল লেগে ছিল , আইভরি ব্ল্যাকের শীর্ষ কোণ সর্বদাই সামন্তরিকের মাথায় চকচকে রক্ত রঙের পাথর হয়ে থাকে নিকোটিন অন্তর্বাস হয়ে
শর্মিষ্ঠা নারী নীল রঙের আবহবিকার পছন্দ করতেন ল্যাটেরাইট মাঠে
আমি মৃত ভ্রূণের মতো বিভাজিত অসুখ পছন্দ করিনা আজ ও , অনিদ্রা ঘরের ভেতর আমার মাথার ত্রয়োদশীর চাঁদ একগুচ্ছ সংক্রামিত অসুখ নিয়ে আসে দুর্গন্ধযুক্ত স্তনবৃন্তের উপর চাপিয়ে ,
কাঁকড়া বিছার প্রমোত্ত ভ্রমণের জন্য স্তনসমগ্রই আসল প্রজনন অভয়ারণ্য , প্রতিটি দিনের বেলায় একগুচ্ছ নৈশকালীন যানবাহন রাতের অরুন্ধতী বুকে নিয়ে উপবৃত্ত এঁকে চলে , আপেল বৃক্ষের তলায় রৌদ্র রঙের কপোতীরা ওৎ পেতে থাকে হিমশৈলের চাদর গায়ে
হলুদ পরকীয়ার নারী নিঃশব্দে আকন্দ ফুল রোপন করে চলে আমার বুকের তিন ঘর্মগ্রন্থির উপর

কাঁকড়া বিছা আসলে নপুংসক ধাতুকল্পের নাম , যে আমার মায়ের তলপেটের কাছে এক সমুদ্র জল জমিয়ে রেখেছিল অভুক্ত বারানসীর জন্য , যুবতী বিকেলের ফুল গুলো হত্যার ধানবীজ নিয়ে চানুর সাথে দ্বৈরথে মেতে উঠবে প্রতিটি বিদর্ভ নগরে …..
লিভোসালপ্রাইড ছায়ার নিচে একটা দাহপত্র লেখা আছে আমি রাতের বেলায় বাৎসায়ন পড়ি নীল জবা ফুলের দ্রাঘিমাংশ দিয়ে
ঈশ্বরের আগেও সহস্র ঈশ্বরের জীবনচক্র পড়েছি আমি হিমোসিল অক্ষর দিয়ে , তারা সকলেই তৃণভোজী ছায়াপথ পছন্দ করত, একটা বিছানার চারপাশে একাকী মুষ্টিযোদ্ধা অদৃশ্য নক্ষত্রদের হত্যা করে চলে , অভিশাপ গ্রস্ত আয়ান ক্লীবলিঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর এখন আর হিমোসায়ানিন দাঁত পছন্দ করেন না দেহসম্ভোগের আগে , রাতের মাস্টারবেট পিঁপড়েরা কালো ধান গাছ কামড়ে খামচে ধরে অসম্পৃক্ত দ্রবণের জন্য
ঈশ্বর প্রতিরাতেই ঈশ্বরীর অজৈব সমীকরণ পাঠিয়ে দেন আমার কঠিন ফসফরাস খন্ডটির জন্য , আমার কোন গলনাংক নেই

আমি প্রতিদিন ঐরাবত মাংসল শরীরের অন্তঃক্ষরা ছায়া শরীর নিয়ে রাতের ভিতরে থাকা স্বভোজী পুরুষদের কথা ভাবি , যারা মৃত্যুর পর নিজের ঠোঁটের ভেতর দুটো কালাচ সাপের বসতি স্থাপন করে সমাধি ফুল দিয়ে , চকচক করে ওঠে বায়বীয় পতঙ্গভুক
মৃত মানুষের চোখের নিচে একটা হায়ারোগ্লিফিক লুকানো থাকে যাদের রংগুলো ৩৩ ডিগ্রি ঊর্ধ্ব স্থিরাঙ্কের মতো চওড়া , আমার মৃত বংশজাত নারীদের অবতল চোখের নিচে হোমাগ্নি কশেরুকার ১১৩ টি হত্যা পর্ব করে যাবে একগুচ্ছ নৈশকালীন ব্রহ্ম পুরুষের দেহ , অবন্তী মালার একটি সজারু হিমালয় ভেঙে দিচ্ছেন রাতের ধোঁয়ার পাহাড় দিয়ে ,শ্যামদা নিষিদ্ধ ওষুধের পেছনে অসংখ্য বৃত্তচাপ এঁকে চলেন , রাতের অন্ধকারে সবাই ভৈরবী চিহ্ন জুড়ে দেয় ঠিক মাথার পেছনে
আমি ক্ষত্রিয়ের মতো গোপিবল্লভ তপোবনের পাশে রেখে আসবো অতৃপ্তির রমন কথা , মিথাইল কোবালামিন শিরাপথ বেয়ে উঠে যাচ্ছে চারটি ক্ষুদ্রাকৃতি মাংসাশী ঘরের দিকে

আমার জলজ ইছামতির নৈঃশব্দের দেহঘরের দিকে যাওয়ার সঞ্চারপথটি উপবৃত্তাকার হতে হতে গোলাপি রঙের হয়ে যাচ্ছে অশ্বক্ষুরাকৃতি নদীর মতো , মৃত্যুর আগে প্রতিটি মানুষ সদর দরজার কাছে একটি সাদা রঙের কাপড় মিলে রেখে যায় যার কোনো পূর্ব দিক নেই , একটি ঝাউ গাছের ভিতরে থাকা আমি কোন অন্তস্থ বৃক্ষ হয়ে যাই , পিঠে থাকা বক্ষবন্ধনীর আর কোন ব্রততী কথা থাকে না , কপালে জলপট্টির বরফ তরল হয়ে যায় নৈশকালীন যাযাবরের মতো , ডোরাকাটা হরিণের উপত্যকা অঞ্চলে খনিজ খুঁড়ে খুঁড়ে বাসুদেব বেরিয়ে আসে
মৎস্যগন্ধা এখানেই খোলস ত্যাগ করে প্রতিটি প্রহরের ছায়া মাংস ভক্ষণ করবে

দীর্ঘ ঈশ্বরী উলঙ্গ হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে তিনটি শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি পাওয়ার পর , অনুদৈর্ঘ্য রাতে ছোট ছোপ অন্ধকার গায়ে উপনদীরা ডিম্বাশয় পেরিয়ে চলে যায় বাদলপুরের দিকে ,
আমি তার পায়ের প্রতিটি জনপদে গন্ধেশ্বরীর স্পর্শ পেয়ে অংকন করি এক একটা চোখের মহীশূর ক্ষেত্র , জীবাশ্ম উপুড় করতে পারিনা নাভিপদ্ম শুঁকে শুঁকে দাঁড়িয়ে পড়ে আমার জীবিত এক দীর্ঘশ্বাস , আপন বৈরাগ্যের কাছে কালিকা ক্ষেত্র হয়ে মহাকালের উপর দাঁড়ালেই নাতিশীতোষ্ণ হয়ে যায় প্রতিটি রণক্ষেত্র , অসংখ্য গর্ভাশয় নিয়ে উদোম পিঠ খুলে বসে আছে একটি ফল দোকান , নাশপাতি বৃক্ষের কাছে একটি সংক্রামক শুঁয়োপোকা পোতাশ্রয় খুঁজে চলেছে নীল খনিজ গ্রানাইট ফেলে আসার পর
এখানে ব্রহ্মতালু শীতল মন্ডলের শীঘ্রপতন ঔষধি বৃক্ষটি রোপণ করে যাবে দুমুখো সাপ গাছটির নিচে , আমার মাথায় দুটো নিশাচর নেমে আসছে হঠাৎ মর্ত্যলোকের অভিশাপগ্রস্ত হয়ে

সারা গায়ে কালো রঙের মুখ , পাশে ক্ষয়জাত মুখাবয়ব , উল্টে আছে লোহিত কনার স্ফটিক পাথর , আমি ক্রমশ খুঁজে চলেছি আকাশমনির ফুল , ঈশ্বরী অবতল ,আর বজ্রপাত নেশাখোর অঙ্গানু সমূহ
কৌশিক পুরুষের পিঠে একগুচ্ছ ধূসর রঙের ক্লোরোফিল লুকানো থাকে ৬ টি ঘোড়ার মতো জলে ভেজা শুক্রাণুর আয়ু দিয়ে ,
যুধিষ্ঠির প্রতিদিন নিরালা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কাছে হলুদ রজনীগন্ধার চারা গাছ রোপন করে যায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক নাম দিয়ে , শুভদীপ মোহন বাঁশি থেকে একটি রানাঘাট খুঁজে বের করে আমি শুধু রাতের বেলায় আস্তিক হয়ে যাই
যারা মুরলি বাজাতে পারে তাদের আর কোনদিন আফসোস থাকেনা

ডিহাইড্রেটেড মরীচিকার তলদেশে অ্যাসপারাগাস নামক পরকীয়া ফেলে আসার পর জীবাত্মা শরীরের কাছে অর্জুন সব শিখলেও আত্মহত্যার মন্ত্রটি এখনও শেখেননি , অর্জুন ঋণাত্মক অভেদের উপর বসে মৃত মানুষকে নিয়ে জয়ঘন্টা বাজিয়ে চলেন
পরাশ্রয়ী বাবা কখন তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদের শরীর , একটি ধ্রুবতারা ও অসংখ্য নিউট্রোফিল শুক্রগ্রহ দিয়ে অযৌন পাহাড় তৈরি করে গেছেন ডাইটর ফাইভ খাবার পর
একটি স্বর্ণকারের ঠোঁট আর বিষুবরেখার জিভ পরস্পর ব্যস্তানুপাতিক শুয়ে থাকে সারা রাত , এলাচ ফুলের নিচে থাকা নারীরা অজগরের চাষাবাদ করছে নৈশ প্রহরী হয়ে

চন্দ্রকলার পঞ্চদশ ঈশ্বরীরা অনন্ত দক্ষিণের ধনাত্মক নৌকা চালিয়ে যাবেন কপাললোচনের দিকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here