মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর এলাকায় দেখা মিলল নীলগাই এর।

0
174

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর এলাকায় দেখা মিলল নীলগাই এর। এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে নিয়ে এলো থানায়। নীলগাই কে দেখতে থানায় উপচে পড়া এলাকাবাসীর ভিড়। এক দিনের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানা চত্বর যেন চিড়িয়াখানা। থানার পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে বনদপ্তর কে। নীলগাই কে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। নীলগাই এক ধরনের বন্যপ্রাণী। যা দেখতে অনেকটা হরিণের মতো। এটি আরটিও ডেকটাইল প্রজাতির। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। বাংলায় সাধারণত এই প্রাণীর দেখা মেলেনা চিড়িয়াখানা ছাড়া। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার সাদলিচক উত্তর কনকনিয়া গ্রামে একটি নীলগাই কে দেখতে পায় এলাকার মানুষজন। মাঠে ওই সময়ে কয়েকজন মানুষ ধান কাটছিল। সেই সময় নজরে আসে। কিছু মানুষ ঐ নীল গায়িকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারার জন্য উদ্যত হয়। নীলগাই টি সেই সময় পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করে যে মারতে দেওয়া যাবে না। পুকুর থেকে সেই নীল গাই কে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার চারিদিক থেকে ভিড় জমায় মানুষজন। সাধারণত এই প্রাণীটির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে কারোরই ধারণা নেই। তাই সে কি ধরনের খাবার খায় তার জন্য ইন্টারনেট সার্চ করছে পুলিশ কর্তারা। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশদের। এলাকাবাসীরা এই ভাবে নীল গাই দেখতে পেয়ে খুব খুশি। সকলেই ব্যস্ত তার ছবি তুলতে, ভিডিও করতে। এই মুহূর্তে থানা চত্বরেই বেঁধে রাখা হয়েছে।

এই নীল গাইকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা এক এলাকাবাসী মিঠুন কুমার মন্ডল বলেন, হঠাৎ মাঠে কাজ করতে করতে দেখতে পায়। আমি এর আগে দেখেছি তাই চিনি। কয়েকজন মারতে চাইলে আমরা দিয়ি নি। পুকুরে পড়ে যায় ফলে ধরতে পারি। তারপর উঠিয়ে গাড়ি করে থানায় নিয়ে আসি।

নীলগাই দেখতে আসা এক এলাকাবাসী আজম আলী বলেন,” আমরা দেখতে পেয়ে খুব খুশি। এর আগে তো দেখি নি। সকলে ভিড় করেছে। আমরা চাই বন্দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হোক।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন বন দপ্তর কে জানিয়েছি। যা করার উনারা করবেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কি ভাবে এলো এই নীল গাই। কোথা থেকেই বা এলো। যেখানে আসে পাশে সেরকম কোনো বন নেই। আর এই রাজ্যে তেমন ভাবে নীল গাইও দেখতে পাওয়া যায় না। অন্য রাজ্য থেকে কী ভাবে আসা সম্ভব? এই সব প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here