ক্যানিংয়ে রাতে অন্ধকারে বিজেপি নেতা আক্রান্ত,অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে।

0
253

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – রাতের অন্ধকারে এক বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ক্যানিং ২ নম্বর মন্ডল বিজেপি সভ প্রশান্ত বায়েন। তিনি ইতিমধ্যে ঘটনার কথা জানিয়ে ক্যানিথানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
বিজেপি নেতা প্রশান্ত বায়েনের দাবী শুক্রবার রাতে ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুমকী গ্রামের এক বিজেপি সদস্যের বাড়িতে দলীয় কর্মসূচীর আলোচন সেরে পরাণীখেকো গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময় সাতমুখী বাজার সংলগ্ন দুমকী স্বামীজি স্কুলের সামনে বেশকিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি পথ আটকায়।কেন দুমকী গ্রামে বিজেপি সংগঠন করতে এসেছি এমন প্রশ্ন তুলে লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে আচমকা বেধড়ক মারধর করে অন্ধকারে মাঠের মধ্যে হিড়হিড় করে টেনে নি যায়।এমনকি খুন করে দেওয়ার জন্য উদ্যত হয়। কোনক্রমে দুষ্কৃতিদের হাতে পায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলে ছেড়ে দেয়।এবং কাছে থাকা মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। মানিব্যাগের মধ্যে মূল্যবান কাগজপত্র ও নগদ ৫০০০ হাজার টাকা ছিল।ঘটনার বিষয় জানিয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অন্যদিকে বিজেপি জয়নগর সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদার বলেন ‘বিজেপিকে শেষ করার চক্রান্ত নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী আর পুলিশ প্রশাসন যেভাবে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ করছে তাতে করে রাজ্যে একটা জঙ্গল রাজ চলছে। তবে এমন ভাবে বিজেপি কে দমানো যাবে না।’
বিজেপি নেতা কে রাতের অন্ধকারে মারধর করা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত হালদার জানিয়েছেন ‘ক্যানিংয়ে বিজেপির সংগঠন বলে কিছুই নেই। যে যার মতো এক একটি পদে নেতা সেজে বসে রয়েছে।এলাকায় অশান্তি তৈরী করতে নানা ধরণের ফন্দিফিকির শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস কে কালিমালিপ্ত করে ফায়দা তোলা চেষ্টা করছে।’
স্থানীয় ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন ‘তৃণমূলের কোন দুষ্কৃতি নেই।আর বর্তমানে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় যে ভাবে শান্তির বাতাবরণ চলছে এবং উন্নয়ণের কর্মযঞ্জ চলছে তাতে করে বিরোধীরা যেনতেন প্রকারে কলুসিত করতে বদ্ধ পরিকর।তারপর রাতের অন্ধকারে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তাদের পারিবারিক কিংবা কারোর সঙ্গে শত্রুতার জেরে ঘটে থাকতে পারে।সে ব্যাপারে যদি পুলিশ প্রশাসন জানিয়ে থাকে তাহলে তা তদন্ত করে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here