নয় মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে।

0
183
Dead man lying on the floor under white cloth with blank tag on feet - retro style. The concept of what people die from.

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- নয় মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানা মিল্কি খাসকোল এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম ফাল্গুনী মন্ডল বয়স কুড়ি বছর। মৃতদেহ আনা হলো ময়নাতদন্তে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় বিগত ১১ মাস আগে মালদা জেলার মোথাবাড়ি থানার মেঘু টোলা বাসিন্দা মন্ডলের মেয়ে ফাল্গুনী মন্ডলের সাথে সামাজিক মতে বিবাহ হয় ইংরেজবাজার থানার মিল্কি এলাকার যুবক রুপ মন্ডলের সাথে। রুপ মন্ডল পেশায় একজন দিনমজুর। মৃত গৃহবধূর বর্তমানে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর ওপর মদ্যপ অবস্থায় তার স্বামীর অত্যাচার করত। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে বেশ কয়েকবার। গত দুইদিন আগে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসে। আজ সকালে মেয়ের বাড়িতে ফোন মারফত খবর যায় যে তাদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকেরা দেখতে পায় তার মেয়ে ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খুনের। ঘটনা তদন্তে নেমে মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে অভিযুক্ত স্বামী ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।

এই বিষয়ে মৃত গৃহবধূর এক আত্মীয় রঞ্জন মন্ডল জানান যে বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। সেই অত্যাচারের জন্য মেয়ে তার বাবার বাড়িতে বেশ কয়েক মাস ধরে ছিল। গত দুদিন আগে তার স্বামী আবার নিজের কাছে নিয়ে যায়। আজ সকালে আমরা খবর পাই তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের অনুমান তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দেয়। আমরা চাই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।