আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের শুশুনিয়া গ্রামের সামান্য মোবাইল মেকানিক, বছর 27 -28 যুবক পিন্টু কর্মকারের দুটি কিডনি প্রায় নষ্টের মুখে, এই পরিস্থিতে ডাক্তারবাবু নির্দিষ্ট সময় দিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপনের নয়তো মৃত্যু অনিবার্য, এমতাবস্থায় পিন্টুর মা ছেলেকে বাঁচাতে কিডনি দান করবেন অর্থাৎ একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে বাকি অর্থের যেটা লাগবে প্রতিস্থাপনের জন্য। এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবু নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে দিয়েছেন এবং বলে দিয়েছেন ওই সময়ের মধ্যেই পিন্টুর শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হবে কিডনি নয়তো বাঁচানো যাবেনা পিন্টুকে।
শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করার জন্য খরচ মাত্র কুড়ি থেকে বাইশ লক্ষ টাকার যা পিন্টুর মায়ের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো ব্যাপার।
কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই সংসারের হাল ধরতে হয় পিন্টু কে তাই উচ্চমাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি তার। পারিবারিক আর্থিক অনটন তাকে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়নি, সেই জন্যই ছোট্ট একটা মোবাইলের দোকান খুলে, মা ও ছেলের জীবন চলে যাচ্ছিল কোনমতে।
জমানো টাকা নেই বললেই চলে এই অবস্থায় হঠাৎ একদিন প্রচন্ড শরীর খারাপ নিয়ে পিন্টু ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তারবাবু বলেন তার দুটি কিডনি প্রায় নষ্টের মুখে।
একমাত্র রোজগেরে ছেলের দোকান ৬ মাস বন্ধ। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন পিন্টুর মা উমাদেবী । ডায়ালিসিস চলছে কিন্তু তার সত্বেও দিন দিন শরীর যেন বিছানার সঙ্গে সেটে যাচ্ছে।
পরিস্থিতি দিন দিন ভয়ঙ্করতম অবস্থার মধ্যে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারেন এলাকার সহৃদয় ব্যক্তিরা, তারা সাহায্যের জন্য গ্ৰামের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিছু কালেকশন করলেও সেই টাকা খুবই যৎসামান্য।
এইভাবে যে এই বৃহৎ অংকের টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় তা বুঝেছেন সকলেই তাই সরকার এবং সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে কাতর আবেদন, দয়া করে সাহায্য করুন অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান কে।
আর্থিক সহযোগিতা না পেলে প্রতিস্থাপন হবে না কিডনি আর
তা যদি না হয় তবে অচিরেই নিভে যাবে একটি জীবন দ্বীপ।