সুভাষ চন্দ্র দাশ , ক্যানিং : — ব্রিট্রিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী শহর ক্যানিং। যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। প্রাচীন শহরের ষ্টেশন সংলগ্ন একমাত্র চলাচলের রাস্তায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়।ট্রেন ধরতে কিংবা চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষজন থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরকে।কখনও বা নির্ধারিত ট্রেনটি ধরতে না পেরে বিপাকে পড়তে হয় যানজটের কারণেই।আবার যানজটের কারণে অ্যাম্বুলেন্স কে ও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।এহেন ঐতিহ্যবাহী ক্যানিং শহরকে উন্নত মনে হলেও বাস্তবে এর চালচিত্র আলাদা।যানজটে নাকাল।
১৮৬২ সালের ২ জানুয়ারী প্রথম ক্যানিং থেকে ট্রেন ছাড়ে। ইতিহাসের সাক্ষী বহন করা ছাড়া আর কিছুই নেই।একদা বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর হ্যামিলটন সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং ষ্টেশন হয়ে গোসাবার দ্বীপে গিয়েছিলেন।সেই দিনটি আজ বিরল ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে এই ক্যানিং শহর।সেই সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কিংবা সিংহদুয়ার ক্যানিং শহর যানজটে জর্জরিত।
সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার মডেল ক্যানিং ষ্টেশনে যেতে গেলে যানজটের কারণে নাকাল হতে হয়।যত্রতত্র অটো,বাইক,ছোট গাড়ি রাস্তার পাশেই পার্কিং করে রাখা থাকে। এমনকি ভ্যান নিয়ে হকাররাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরসা সাজিয়ে ব্যবসা করে। ফলে যানজট আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য এমন সমস্যা সমাধানের জন্য পথে নামলো পুলিশ প্রশাসন। বুধবার দুপুরে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস,ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ ও ক্যানিং ট্রাফিক ওসি দেবপ্রসাদ সরদারের নেতৃত্বে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ক্যানিং শহরের পথে নামে। বেআইনি পার্কিং হটিয়ে দিয়ে পরিষ্কার করেন গাড়ি চলাচলের রাস্তা।এছাড়াও পুলিশ কর্তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গাড়ি চালকদের কে হুঁশিয়ারী দিয়ে সতর্ক করে দেয়।