হঠাৎ নীলাঞ্জনার জন্য : ডঃ অশোকা রায়।

0
361

পাহারাদারের লাঠির শব্দ কাছে এগোয়,
ঠক ঠক…দূরের থেকে কাছে হয় বেহিসাবীর আওয়াজ।
চকিতে জোছনা নগ্নতা ঢাকে
পোষাকি আলোয়।
সব কথা রয়ে যায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি হয়ে।
রাত্রি ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর শান্ত দুই চোখে।
এক গ্লাস দুধ- বিষাদ
পান্না পাতা বেয়ে গড়ায় টুপটাপ।
কালো রঙা আকাশের থালার এক কোণে বেদনার চুণী।
আমার সাদা লাঠির গায়ে লাগানো গন্ধক, তবুও কোন বিস্ফোরণ ঘটে নি।
কারণ আমি লাঠিতে ভর দিতে শিখিনি,
চাইনি হতে লাঠিয়াল,
তাইতো ব্যর্থতা আমাকে কুব্জ করেছে।
তবুও আমি অহংকারী;
হয়তো এ দুঃসময় কেটে যাবে,
হঠাৎ হঠাৎ ধেয়ে আসা তোমার শোকটাও ভুলে যাব,
হয়তো অন্য কারো হাত ধরে পেরিয়ে যাব জীবনের ভুবন ডাঙার মাঠ।
সোনাঝুরির মেলায় চড়বো নাগর দোলা।
নকশী কাঁথায় উঠবে ফোঁড়,
সুখে আছি।
তবুও নীলাঞ্জনা তোমার জন্য করবে বড্ড মন কেমন।
সঞ্চয়িতা পাতার ফাঁকে রাখা ময়ূরের পালকটা যে তার রঙটা আর কোনদিনই পাল্টাবে না।
তাই এই লেখাটার নাম থাক হঠাৎ নীলাঞ্জনার জন্য।
না সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হতে পারবো না কোনদিনই,
তবু নামটা ধার করতে ইচ্ছে হল।
আকাশে মেঘ করেছে অনেকটা।
হয়তো ঝেঁপে বৃষ্টি আসবে,
তাই আমার প্রান্তিক কল্পনার জানলাটা বন্ধ করলাম।
17/7/2022
10:14 am

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here