বাল্যবিবাহ রোধে পথে নামল স্বাস্থ্য দফতর, চাঁচলের স্কুলে স্কুলে চলছে সচেতনতা ।

0
188

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ– বাল্যবিবাহ রোধে পথে নামল স্বাস্থ্য দফতর, চাঁচলের স্কুলে স্কুলে চলছে সচেতনতা বর্তমানে ছেলে মেয়েদের খুব অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়।কখনো পারিবারিক অভাবের তাড়নায় আবার কখনো বাবা মায়ের নিজ সম্মতি তথা ধোনী পাত্র পেয়ে যাওয়ার কারণে।কয়েক মাস আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল চাঁচল থানার ক্ষেমপুর এলাকায়।পুলিশ পদক্ষেপও নিয়েছিল।কিন্তু তারা বোঝে না বাল্য বিবাহ রোধে তাদের ছেলে-মেয়েদের কতটা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।প্রতিটা পরিবার প্রতিটা বাবা-মা চাই তাদের সন্তান যেন ভালো থাকে। কিন্তু তাদের ভালো করার মাঝ থেকে তাদের ক্ষতি করে ফেলেন তারা এই বাল্য বিবাহের ফলে,বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনিক মহল।শিক্ষামহলের দাবি,বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েদের পড়ালেখার মান কমে যায়।পড়ে যায় সাংসারিক চাপ।তাদের আয় রোজগার কমে যেতে পারে এবং তারা ব্যাপক হারে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হতে পারে।

এছাড়াও বাল্যবিবাহের পর গর্ভকালীন জটিলতা থেকে তারা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারে, যা মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা।লকডাউনের পরে স্কুল ছুটি থাকায় গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিবাহের ঘটনা শোনা গেছে বহুবাল্যবিবাহ রোধে এগিয়ে এসেছেন,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রশাসন ও পুলিশ কর্মীরাও।এবার বাল্যবিবাহ ও কৈশোরি গর্ভধারণ রোধে পথে নামল খোদ স্বাস্থ্য দফতর।তাদের এই উদ্যোগ জোর দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে স্কুলগুলিতে।মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল প্রতিদিন স্কুলে স্কুলে গিয়ে সেই সচেতনমূলক প্রচার চালাচ্ছেন।মঙ্গলবার চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনেও কর্মসূচী চলেছে।এছাড়াও এদিন চাঁচলের অরবরা হাইস্কুল,ইসমাইলপুর জুনিয়র হাইস্কুল
হাজাতপুর এম.এস.কে ও রানী দাক্ষায়ণী গার্লস হাইস্কুলে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হয়েছে পড়ুয়াদের মাঝে।এদিন সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনে সেই বাল্যবিবাহ ও কৈশোরি গর্ভধারণ রোধের সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয় শতাধিক স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে।উপস্থিত ছিলেন,চাঁচল-১ নং ব্লক জনস্বাস্থ বিভাগের নার্স শেফালি রায়,
মহিলা পরিষদের বুলবুল ভৌমিক,
আর.বি.এস.কে চিকিৎসা জাকিয়া হোসেন,চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালের নোডাল অফিসার শুভাশিষ বড়ুয়া,সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আসরারুল হক,চাঁচল থানার এস.আই প্রদীপ সরকার,প্রমুখরা।স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এদিন ছাত্রছাত্রীদের একজোট করে লাইভ প্রজেক্টরের মাধ্যমে সচেতন করা হয়।

হাসপাতালের নোডাল অফিসার শুভাশিষ বড়ুয়া সহ স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা দাবি করে বলেন,বাল্যবিবাহ একজন মেয়ের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপুষ্ট ও প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম, অধিকার বঞ্চিত করা সহ নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় একজন বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েকে।তাই এদিন সচেতন শিবির করে প্রত্যেক ছাত্র ও ছাত্রীকে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের মধ্যে আত্মনির্ভর করার বার্তা প্রেরণ করা হয়।

এদিকে চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আসরারুল হক জানান,বিবাহিত ছেলে মেয়েকে আমরা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে দিইনা।এবং স্কুলেও ভর্তি নেওয়া হয়না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here