নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়া জেলার রানাঘাট-১ ব্লকের অধীন বারাসাত পঞ্চায়েত এর বাসিন্দাদের জীবিকা মূলত কৃষি ও পশুপালনের উপর নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি রয়েছে গৃহ ভিত্তিক তাঁত শিল্প, যদিও তাঁত শিল্পের সেই গৌরব আজ আর নেই। এই অঞ্চলের ভাদুড়ী পুকুরপাড়া গ্রামের মধ্যে ত্রিশের গৃহবধূ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা শম্পা বিশ্বাস। শম্পার বাপের বাড়ি দমদম। বাবা একজন রং মিস্ত্রি, মা গৃহবধূ। বাবার রোজগারে খুবই কষ্টে দিন গুজরান করতে শম্পা। স্বাভাবিকভাবেই মেধাবী হওয়া স্বত্বেও বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারেন নি শম্পা, বিয়ে হয় ভাদুড়ী গ্রামের জনৈক নির্মাণ কর্মীর সাথে। বিয়ের পর পারিবারিক জীবিকার স্বাচ্ছন্দের জন্য শুরু করেন ছাগল পালন, বর্তমানে ৭ টি ছাগল রয়েছে শম্পার। পাশাপাশি তিন বছর আগে যোগ দেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে এবং নেতৃত্বের দক্ষতায় দলনেত্রীর পদ অবলম্বন করেন।
শম্পা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কথা জানতে পারেন ২০২০ সালে একটি গ্রামীণ সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে। সেখানে পরিচয় ঘটে ফাউন্ডেশনের কর্মী সুজয় ব্যানার্জীর সাথে। এই শিবির থেকে শম্পা ফাউন্ডেশনের হেল্পলাইন নম্বর সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণের কথা জানতে পারেন। এরপর হেল্পলাইন নম্বর এবং ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ থেকে গোষ্ঠীর ব্যাঙ্ক লোন সংক্রান্ত বিষয়গুলি জেনে গ্রেডিং এর জন্য আবেদন করেন। গ্রেডিং উত্তীর্ণ হওয়ার পর গ্রূপ ২.৫০ লক্ষ ব্যাঙ্ক লোন পায়। সেখান থেকে শম্পা তার লোন নিয়ে একটি গরু কেনেন। পাশাপাশি হেল্পলাইন নাম্বার থেকে পশুপালন সংক্রান্ত বিষয়ের খুঁটিনাটি জেনে বাণিজ্যিকভাবে করছেন পশুপালন। বছরে প্রায় ৩০,০০০/- টাকার ছাগল বিক্রি করেন শম্পা। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য পরিষেবায় আজ অনেকটাই স্বাবলম্বী শম্পা। স্বপ্ন ব্যবসার আয়তন বাড়িয়ে সফল পশুপালক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করা। তাঁর কথায় ” আমরা অনেক সময় প্রাণীর সঠিক চিকিৎসা করতে পারি না, আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলিও অজানা। ফলে প্রায়শঃই প্রাণী রোগাক্রান্ত হয়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর সাথে পরিচয় হওয়ার পর এই সমস্যা আজ অনেকটাই মিটেছে। এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধান অনেকটাই করতে পারছি “।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এভাবেই গ্রাম বাংলার অগণিত পরিবারের পাশে থেকে জীবিকা বিকাশের কাজ করে চলেছে।
ব্যাঙ্ক ঋণ ও পশুপালনের তথ্য পরিষেবায় উপকৃত শম্পা : সাথে আছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।

Leave a Reply