রঞ্জনবাজার রাজরাজেশ্বরী দুর্গা মন্দিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

0
202

সেখ ওলি মহম্মদ, সব খবরঃ- আজ মহালয়া। আর মহালয়ার পর থেকেই দুর্গাপুজোর ঘন্টা বেজে গেল। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। দুর্গাপুজো ঘিরে সারাদেশে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাতাসে এখন শুধু পুজোর গন্ধ। আর সেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে এই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা। সেজে উঠছে পুজো মণ্ডপ। চলছে শেষ মুহূর্তে উমা বরণের প্রস্তুতি। দুবছর করোনা শঙ্কা কাটিয়ে এবারের উৎসব একটু বেশি আবেগের এবং উন্মাদনার হবে। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়ল বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঞ্জনবাজার সার্বজনীন রাজ রাজেশ্বরী দুর্গা মন্দিরের। বিগত ১৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই মন্দিরে দুর্গাপুজো। তবে এখানের পুজো গোটা দুবরাজপুর শহর থেকে একটু ভিন্ন। কারণ প্রতিবছর কুমারটুলি থেকে মা দুর্গার প্রতিমা আনা হত। কিন্তু গত দুবছর করোনা অতিমারীর জন্য তা বন্ধ রেখে কুমারটুলির শিল্পীদের এখানে নিয়ে এসে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। পাশাপাশি প্রতিবছর চন্দননগরের আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয় এই দুর্গা মন্দির। দূর দূরান্ত থেকে বহু জনসমাগম হয় এখানে। মা দুর্গার প্রতিমা দর্শন করতে এবং আলোকসজ্জা দেখতে আসেন মানুষজন। এখন মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এক কথায় জোর কদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। রঞ্জনবাজার সার্বজনীন রাজ রাজেশ্বরী দুর্গা মন্দির কমিটির উদ্যোক্তা তথা দুবরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বনমালী ঘোষ জানান, এই পুজো এ বছর ১৪ বছরে পদার্পণ করল। আগে এখানে প্রথম দুবছর প্যাণ্ডেল করে পুজো হত। কিন্তু ২০১১ সালে আমি এই মন্দির নির্মাণ করে দি। আমরা ১০-১৫ জন বন্ধু মিলে এই পুজো শুরু করেছিলাম। প্রতিবছর আমরা কলকাতার কুমারটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসতাম। কিন্তু করোনা অতিমারীর জন্য আমরা কুমারটুলির শিল্পীদের নিয়ে এসে প্রতিমা তৈরির কাজ করাচ্ছি। আর এখানে চন্দননগরের লাইট নজর কাড়ে দর্শকদের। ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনে দুবরাজপুর পৌরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুঃস্থ মানুষদের আমি বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। আমার পাড়ার ছেলেমেয়েরা একত্রিত হয়ে এই পুজো পরিচালনা করে। আমাদের এখানে সন্ধি পুজোতে এবং অষ্টমীর চাল কুমড়ো ও আখ বলির প্রথা রয়েছে। তাছাড়াও সপ্তমী, নবমী ও একাদশীর দিনে পাড়ার লোকজনদের খাওয়ানো হয়। এই মন্দির প্রাঙ্গণে চারদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here