খড়গপুরের বোগদা থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দিলীপ ঘোষের।

0
245

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  খড়গপুরের বোগদা থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দিলীপ ঘোষের। “দেখা যাবে কার কত দম আছে। পুলিশের কোলে থেকে গুন্ডা নিয়ে যারা রাজনীতি করছে, পাবলিক পিটিয়ে ছাল খুলে দেবে। সময় আসছে।তেল মেখে থাকো, রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে তৃণমূল প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা মন্তব্য করেন, দিলিপ ঘোষের পা একদিকে বডি অপর দিকে থাকবে, এই প্রসঙ্গ নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আমাদের কিছু করতে হবে না। অন্যদিকে রাজ্যে লুটপাট প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন কেন্দ্র থেকে প্রচুর টাকা আসত ওরা লুঠপাঠ করে খেত।কেন্দ্রের টাকা যেই বন্ধ হয়েছে নেতাদের পকেট খালি হয়ে গেছে।পেট্রোল ভরার টাকা নেই, সাইকেল চালাচ্ছে অনেকে।লুঠপাট না করতে পেরে লোকালি টাকা তোলা হচ্ছে।তখনই ভাগে কমবেশি হলে, মারামারি বোম বন্দুক হয়ে যাচ্ছে।এটা আরও বাড়বে।সমস্ত সমাজবিরোধীদের তৃণমূল নেতা বানানো হয়েছে। আর ওরা পদ ভাঙিয়ে টাকা তুলছে।তারপরে মারামারি করছে বাচ্চাদের বোম মারা হচ্ছে।সাধারণদের বোম মেরে ভয় দেখানো হচ্ছে।পুরো জেলায় জেলায় এই পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে। অন্যদিকে দাঁতন বিধানসভায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন খুব দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। এগুলো সরকারের, বিদ্যুৎ বিভাগের দেখা উচিত।পঞ্চায়েতের ও খেয়াল করা উচিত।সাধারণ মানুষের সতর্ক থাকা উচিত।কি করে হল এর তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন পঞ্চায়েতের পুরো প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি।কেন্দ্রীয় নেতা তরা কলকাতায় এসে পুরো পরিস্থিতি বুঝেছেন।এবার জেলায় জেলায় ট্যুর শুরু করছেন।আমিও উনাদের বলেছি, আপনারা জেলায় এলে কর্মিরা উৎসাহিত হবে।মেদিনীপুরে আসছেন।কর্মীদের সাথে বসে বৈঠক করবেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে সায়ন্তন ব্যানার্জীর প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন উনি উনার সাজেশন দিয়েছেন।যে কেউ দিতে পারে। আমাদের পার্টিতে সেই পরিবেশ পরিস্থিতি আছে।উনি পুরোনো কর্মী হিসেবে পার্টিকে সাজেশন দয়েছেন। পার্টি ঠিক মনে করবেন তা করবে। পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর আঙুল তুললেন, তিনি বলেন সারা বাংলায় গুলি বন্দুক চলছে।তৃণমূল নেতা রা তৃণমূল নেতাকে মারছে।গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, কাটমানি সিন্ডিকেট হচ্ছে।এখন তো পাড়ায় পাড়ায় গুলি বন্দুক বোম চলছে।সব দুষ্কৃতকারী তৃণমূল নেতা হয়ে গিয়ে কাটমানি খাচ্ছে।পুলিশ গায়ে হাত দেয়না কারণ তারা তৃণমূল করে।আর প্রতি নিয়ত তা চলছে। সাধারণ মানুষের জীবন ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।চলছে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোমাবাজি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন এরা সমাজে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।কেউ যেন না আসে।একবতরফা লুঠ করতে পারে।বাচ্চারা দেখে নিয়েছে বোমা তাই তাদের উপর বোম চার্জ করেছে।এরা সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের ছাতার তলায় থৈ লুঠপাঠ করছে। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জির প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন সারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গিয়ে মোদির সাথে বৈঠক করছেন। ইনি যান না।গেলে হয়তো হিসাব চাইবে। গেলে শুনতে হবে এত বোম বন্দুকের আওয়াজ কেন আসছে? সৎ লোক খুন কেন হচ্ছে। রেপ হচ্ছে কেন? তার জবাব ও দিতে পারবেন না তাই মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
এখনও তার ওজন একশ কিলোর নিচে আসেনি এলে হয়তো জর্জ সাহেব ভাববেন।উনি চেষ্টা করছেন পঞ্চায়েতের আগে এসে হয়তো আবার বোম বন্দুক নিয়ে এক তরফা লুট করবেন। যদি পঞ্চায়েতের আগে ওকে ছাড়া হয় তবে ফের বিরভুমে হিংসা হবে ভোট লুট হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here