শ্রমিক মহলে খুশির হাওয়া ময়ূর দেখে।

0
168

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- শ্রমিক মহলে খুশির হাওয়া ময়ূর দেখে।জলপাইগুড়ি‌র শহর সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-‌বাগানে দেখা মিলছে ময়ূরের ঝাঁক। বছর কয়েক আগে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। তারপর থেকে এই বাগানেই রয়ে গেছে ময়ূরের দল। এখানকার আদিবাসী মানুষদের কাছে যেতেও কোনও ভয় পায় না তারা।
ঘুম থেকে উঠেই নিত্যদিন এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূরের দেখা পান এই বাগানের শ্রমিকরা। এত ময়ূর একসাথে দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকেও ডেঙ্গুয়াঝাড়ে চলে আসছেন অনেক পর্যটক। একইসঙ্গে এখানে বাড়তি পাওনা সুদৃশ্য কাঞ্চন‌জঙ্ঘা পাহাড়। সবমিলিয়ে এক অসাধারণ বৈচিত্র্য ফুটে উঠেছে এই চা-বাগানে।
জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসা এই ময়ূরের দলকে চোরাশিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে সবসময় তৎপর রয়েছেন এলাকার শ্রমিকরা। বাগান ম্যানেজার জীবনচন্দ্র পান্ডে বলেন, তাঁদের বাগানে বিশেষ করে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য পশুপাখিদের তেমন কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-‌বাগানের বুক চিরে বয়ে চলেছে রুকরুকা নদী। পশুপাখিরা এই নদীতে নেমেই জলপান করে। একইভাবে বাগানের মাঝ বরাবার রয়েছে রেল লাইন। এক হাজার হেক্টরেরও বেশি এই চা বাগানে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস। এই বাগানের প্রত্যেকেই ময়ূরদের খুব ভালবাসে। দেবতার বাহন বলে সুন্দর এই পাখিদের আপন করে নিয়েছেন সকলে। বর্ষা শেষে বাগানের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষই তখন ময়ূরের ঝাঁক দেখতে আসেন এখানে। এছাড়া প্রতি রবিবার ও ছুটির দিনগুলোতে জলপাইগুড়ি শহর থেকে অনেকেই ছুটি কাটাতে চলে আসেন ডেঙ্গুয়াঝার চা-‌বাগানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here