আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার একদিকে যখন চলছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর সাঙ্গঠনিক বৈঠক ঠিক তখনই জেলার শেষ প্রান্তে একাধিক পুলিশের গাড়ি নিয়ে হাজির অফিসারেরা, হতবাক কোতুলপুর শহরের বাসিন্দারা।
সূত্রে জানা যায় গতকাল কোতুলপুরে এসে পৌঁছায় সুদূর কলকাতা থেকে এক ভ্যান পুলিশ অফিসার এবং সঙ্গে নেয় কোতুলপুর পুলিশের টিমকে দ্রুত পৌঁছায় – কোতুলপুরের গরু হাটতলার সায়েরের পূর্ব পাড়ে *রুপম সরকারের বাড়িতে* দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে পুলিশের তল্লাশি, এবং বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ আধিকারিকরা।সূত্র মারফত জানা যায় রূপম সরকার নামে ওই ব্যাক্তি কোতুলপুরের বাসিন্দা, দীর্ঘদিন ধরে নাকি মোবাইলের ওটিপি জালিয়াতি করতেন , অনেক অ্যাকাউন্ট এর থেকে টাকা তছরুপের অভিযোগ আছে উক্ত ব্যক্তির নামে, তাই আপাতত তাকে কলকাতা পুলিশরা তাকে কোতুলপুর থানাতেই আটক রেখেছেন এমনটাই খবর।
কোতুলপুর থানায় আনার পূর্বে রূপম সরকারের বাবার দোকানেও পুলিশ হানা দেয় এবং বেশকিছু নথি সংগ্রহ করে। আমরা বারবার দেখি সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় মোবাইলে ওটিপি দেবেন না অচেনা ব্যক্তিকে। তা সত্ত্বেও হাজারো মানুষ এই মোবাইলের ওটিপির জালিয়াতে শিকার হয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়ান ,
এলাকার মানুষ ভেবে পাচ্ছেননা রুপমের মতো ভালো ছেলে – অন্যান্য একাউন্ট থেকে কি ভাবে এই ওটিপি জালিয়াতি করতো
রুপম কি একাই এই কাজ করতে পারে নাকি এর পিছুনে আরও অন্য কোনো ব্যক্তি আছে সেদিকেও খোঁজ খবর নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা
আপাতত কোতুলপুর পুলিশশের প্রচেষ্টায় দ্রুত ওই অভিযুক্ত রুপম সরকারকে আটক করেছে এমনটাই জানা যায় ।
রূপমের মা বলেন ছেলে সিমকার্ড রিচার্জ এর কাজ করতো জানতাম কিন্তু আজ পুলিশ কেন তুলে নিয়ে গেল ভেবে পাচ্ছি না ।